২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত কাউখালী উপজেলা হতে যাচ্ছে

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৫৫ অপরাহ্ণ, ১৫ মার্চ ২০২৩

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত কাউখালী উপজেলা হতে যাচ্ছে

সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ- ২ প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় আনছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্যান্য উপজেলার মতো পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়। এই তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্ত্বাবধানে একটি চলমান প্রক্রিয়া।

তালিকা অনুযায়ী ‘ক শ্রেণি’ অর্থাৎ একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬০৫ পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে যথাক্রমে ১১০, ২৫০, ২০টি মোট ৩৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

৩৮০টি গৃহ তৈরী করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে সনদপত্র ও দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত সকল পরিবার পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসিত হবে।

৪র্থ পর্যায়ে ২২৫টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে এবং নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন ঘরগুলোতে তালিকাভুক্ত ২২৫টি ‘ক শ্রেণি’ অর্থাৎ একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে কাউখালীকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

‘ক শ্রেণি’র এই তালিকা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি কর্তৃক দফায় দফায় যাচাই- বাছাই করা হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউখালী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে বিগত ০৩ আগস্ট, ২০২২ তারিখে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিক্ষক ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গ্রাম বাংলার প্রান্তিক ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে রেজিষ্ট্রেশনের কাজ চলছে।

আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ সম্ভাব্য সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্নের প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এঁর নির্দেশনা ও ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়েল’ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

গৃহসমূহ নির্মাণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমীনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সেলিম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেহের নিগার সুলতানা ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়।

বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ মিঞা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানষ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

চতুর্থ পর্যায়ে অনুমোদিত সেমিপাকা ঘরগুলোর প্রাক্কলিত ব্যয় ২,৮৪,৫০০.০০ টাকা। চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ প্রাপ্ত মোট ২২৫টি গৃহের মধ্যে ১০০টি গৃহ আগামী ২২/০৩/২০২৩ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

বাকী ১২৫টি গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে উপকারভোগীদের প্রদান করা হলে কাউখালী উপজেলা ‘ক শ্রেণির’ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

পরবর্তীতে নদী ভাঙনের ফলে সর্বশান্ত হলে, দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বশান্ত হলে এবং পরিবার বিভাজনের ফলে বসবাসের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন