২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ভোটকেন্দ্রের বাইরে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে যুবক নিহত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২২ অপরাহ্ণ, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই যুবকের নাম আলাউদ্দিন। আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মোটরসাইকেল।

নিহত আলাউদ্দিন কুমিল্লার সুলতান মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওই ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মো. আলাউদ্দিন।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বশির আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও সেখানে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ চলছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

চসিক নির্বাচনে ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

তবে এর মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৮০ হাজার, যারা এবারই প্রথম ভোট দিচ্ছেন। নতুন ভোটাররাই এবারের ভোটে মেয়র-কাউন্সিলর নির্বাচনে ফ্যাক্টর হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে।

চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।

এ ছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূডান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য ৭০ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী গ্রহণ করেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

এ সময়ে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হলে নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন