১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভোট দেননি আমির হোসেন আমু

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০২ অপরাহ্ণ, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

ঝালকাঠির দুটি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াশা আর শীতে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বারার সাথে সাথে ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখের মত।

সকালে ঝালকাঠি-১ আসনের রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ২জন আহত হয়েছে। তারা রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দেখা গেলেও বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে অনেক কেন্দ্রেই দেখা যায়নি।

ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ভোট দেননি। দুপুরে ঝালকাঠির বাসা থেকে বের হয়ে নলছিটিতে কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তার ভোট ঢাকায় থাকায় তিনি ঝালকাঠিতে ভোট দিতে পারেননি।

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান তার গ্রামের বাড়ি নবগ্রামে ভোট দিয়েছেন। এরপর তিনি নলছিটিতে কয়েকটি কেন্দ পরিদর্শন করেন। এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএ কুদ্দুস খান আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমুকে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। বাকি দুজন প্রার্থীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

অপরদিকে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি বজলুল হক হারুন বেলা সাড়ে ১১টায় তার গ্রামের বাড়ি কানুদশকাঠি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।

এ আসনের বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীরউত্তম দুপুর ২টা পর্যন্ত তার বাসা থেকে বের হননি বলে জানা গেছে।

এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী থাকলেও অপর প্রার্থীদের কোন সমর্থক মাঠে ছিল না। কেন্দ্রেও কোনো এজেন্ট ছিল না। রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন এবং জেলা সদর ও নলছিটি উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি-২ আসন।

৩২টি ইউনিয়ন নিয়ে জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৯২ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন ৬২ হাজার ৩৫৯ জন।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন