২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভোলা। নিখোঁজ ৮ জেলের সন্ধান মেলেনি: স্বজনদের কান্নার রোল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০২২

ভোলা। নিখোঁজ ৮ জেলের সন্ধান মেলেনি: স্বজনদের কান্নার রোল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ভোলা:: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ইউসুফ মাঝির মালিকানাধীন ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনদিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি ৮ জেলের। এতে জেলে পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম।

ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন কারও বাবা, কারও সন্তান, কারও স্বামী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে চরফ্যাশনের দুই ইউনিয়নের কয়েক গ্রাম।

ট্রলারডুবির ঘটনায় ইউসুফ মাঝিসহ ৫ জন জীবিত উদ্ধার হলেও এখনও ৮ জেলে নিখোঁজ। নিখোঁজরা ফিরবেন এ অপেক্ষায় দিন কাটছে জেলে পরিবারগুলোর।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু পাটোয়ারীর ছেলে মো. রাসেল (২৮), ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. তছলিম (৩০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাফরের ছেলে মো. ইসমাইল (৩১), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মন্নান আখনের ছেলে আব্দুর রহমান আখন (৪০) ও নাছির মাঝির ছেলে আ. মন্নান (৩৪), শশীভূষণ থানা রসুলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান আহমেদ মল্লিকের ছেলে নাজু (৫০), মো. আক্কেল আলী বেপারীর ছেলে মো. সাদেক (৪২) এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু হাওলাদারের ছেলে মো. জুয়েল (২৯)।

এদিকে চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিখোঁজ জেলে ইসমাইলের মা শাহিনুর বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার ছেল তিন সন্তানের জনক। সে নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনদিন হলো আমার ছেলের সন্ধান পাইনি। আমার ছেলের বউ এবং নাতি-নাতনীদের কে দেখবে। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ ছেলেকে উদ্ধারে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমার ছেলের চিন্তায় আমাদের পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। নিখোঁজ জেলেরা বেঁচে আছেন কিনা, তাও জানা নেই পরিবারগুলোর।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান বরিশালটাইমসকে বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে খুব দ্রুতই উদ্ধার অভিযান যাবে কোষ্টগার্ড।

তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ জেলে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

৯ আগস্ট বিকালে চরমানিকা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ মাঝির মালিকানা মাছ ধরার ট্রলার বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে পায়রাবন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের গভীরে ১৩ জেলেসহ ডুবে যায়।’

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন