২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ভোলায় নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, ০১ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা:: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতাকর্মীদের দোকান ও বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেন দুলালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

রোববার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত তিনটি হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর দুই সমর্থককে আটক করে। পরে সহিংসতার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

স্থানীয় ও হামলার শিকার নেতাকর্মীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেন দুলাল (আনারস) ৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে বিজয় লাভ করলে ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা বাগানের খাল মাছঘাটে হামলা চালায়।

এ সময় নৌকার কর্মী ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মো. মহিউদ্দিনের মাছের আড়ত, মো. মিজানুর রহমানের মুদি দোকান ও রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, একই সময় আনারসের কর্মীরা বিজয় মিছিল থেকে এলাকায় নৌকার কর্মী আ. রশিদ মিজির দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ওই রাতে ভাঙচুরে বাঁধা দিলে মহিউদ্দিন আখন্দকে পিটিয়ে আহত করে।

নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সোমবার উপজেলার মুচিবাড়ির কোনা এলাকার মো. তরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

হামলার শিকার শাহ মো. মহিউদ্দিন সাজি বলেন, আনারস প্রতীকের সমর্থক শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক তার দোকানে হামলা চালায়। রাম দা দিয়ে কুপিয়ে দোকানে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও জালসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। মিছিলকারীরা তার বাড়িতেও হামলা করে।

এ সময় গ্রামের লোকজন প্রতিরোধ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রশাসন ঘটনাস্থল থেকে তাকে (মহিউদ্দিন সাজি) ও ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেন।

পরে পুলিশ কোস্টগার্ডের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

স্বতন্ত্র বিজয়ী তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল বলেন, ‘নৌকার কর্মীদের ওপর হাত তোলার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা এক দলের মানুষ। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ওরা আমার অনেক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করেছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। তারপরেও আমি নেতাকর্মীদের ধৈর্যধারণ করতে বলেছি। যেগুলো ঘটেছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

তজুমদ্দিন থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের দুটি টহল দল বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরছে। এলাকায় র‌্যাব-বিজিবি অবস্থান করছে। কারও ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রশ্নই ওঠে না। সোমবার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এখন অনেকে ব্যক্তিগত সমস্যা বিরোধ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।’’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন