২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভোলায় প্রতিপক্ষের ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৫ অপরাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা :: ভোলা সদর উপজেলায় বসত বাড়ির সিমানা বিরোধের জের ধরে তিন জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় আরও ৬জন আহত করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ওই এলাকার পাটওয়ারীর বাড়ির মো. খোরশেদ আলম বেপারী, তার ছেলে মো. মনির ও মো. আনোয়ার হোসেন, মেয়ে জামাই আবু কালাম, আবু বেপরী, দুলাল বেপারী, রুমা বেগম, মৌসুমী বেগম ও মাহমুদা খাতুন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মো. মনির, আনোয়ার হোসেন, আবু কালাম ও মাহমুদা খাতুনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

আহত মো. খোরশেদ আলম বেপারী অভিযোগ করে বলেন, একই বাড়ির মৃত আব্দুল বারেক বেপারীর ছেলে মো. শাহজাহান, জয়নাল ও আলাউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ এক বছর ধরে বাড়ির পুকুরে যাওয়ার রাস্তার সিমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা একেকবার আমার জমির মধ্যে এসে সিমানা পিলার স্থাপন করে। এমনকি আমরা যাতে বাড়ির পুকুরে যেতে না পারি তার জন্য আমাদের ঘর থেকে বের হওয়ায় যায়গায় এসে ঘর নির্মান করেছে।

এনিয়ে বুধবার ধনিয়া ইউনিয়ন চেয়রম্যান এমদাদ হোসেন কবির ও ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ মিমাংশায় বসেন। পরে সালিশ শুরু করে দিয়ে চেয়ারম্যানের জরুরি কাজ থাকায় সে সেখান থেকে চলে আসলে শাহজাহান গংরা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাদিস, মাইনুদ্দিন ও মোতাছিনসহ ১০-১২ জন মিলে দেশীয় আর ও লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমার ছেলে মো. মনির, আনোয়ার হোসেন, মেয়ে জামাই আবু কালামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

তাদের বাচাতে গেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ভাই আবু বেপারী, ভাইর বউ মাহমুদা খাতুন, ভাতিজা দুলাল, ছেলে বউ রুমা বেগম ও মৌসুমী বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে মনির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আবু কালাম ও মাহমুদা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান খোরশেদ আলম।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. শাহজাহানকে একাধিকবার মোবাইল করলেও সে মোবাইল রিসিভ করেনি।

এব্যাপারে ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. এমদাদ হোসেন কবির বলেন, খোরশেদ আলম বেপারী ও শাহজাহানদের মধ্যে বাড়ির সিমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এটি নিয়ে বুধবার সকালে একটি সালিশে বসি। আমার অন্য কাজ থাকায় স্থানীয়দের দায়িত্ব দিয়ে আমি সালিশ থেকে চলে আসার পর উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে সেটি সংঘাতে পরিনত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত আছে বলে আমি শুনেছি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন