২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভোলায় ২১২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার ৩টি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, ভোলা :: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ২১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৩টিতে। তাও জরাজীর্ণ বলেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আশপাশের কোনো না কোনো শহীদ মিনারে। অনেকে অস্থায়ীভাবে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানান।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ২/৩টিতে। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭১টি, মাদরাসা ৬৯টি ও কলেজে রয়েছে ১২টি। এ সব অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এ উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ৪৫টি। কোনো কিন্ডারগার্টেনেই শহীদ মিনার নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে কি নেই সঠিকভাবে জানানে না মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্ত। শিক্ষা প্রকৌশলী সৌরভ আলী বলছেন আমরা শুধু চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ১টি করেছি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তাতেও অযত্ন-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। প্রায় প্রতিটি শহীদ মিনার স্তম্ভ গাছের পাতা আর ধুলায় মলিন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে প্রতিবছর বাঁশ বা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো কোনোটিতে শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজনই হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা ডিজিটাল উপজেলা চরফ্যাশন উপজেলার শিক্ষার্থীরা, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার পাচ্ছি না ফলে প্রতিবছরই এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আমাদের।

উত্তর আসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুলের জায়গাও নেই শহীদ মিনারও নেই। পালনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে গিয়ে পালন করতে হয়।

চরফ্যাশন পৌর মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, পৌরসভার ফ্যাশন স্কয়ার চত্বরে আন্তর্জাতিক মানের শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো বছর জুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাখায় সকল দলের মানুষরই এই মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী বলেন, এবছর স্লিপের সাথে শহীদ মিনারের কথা লিখে দেওয়া হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলন বরিশালটাইমসকে জানান, কয়টি শহীদ মিনার আছে আামার জানা নেই। শিক্ষা প্রকৌশলী সৌরভকে জিজ্ঞাসা করলে সব তথ্য পাবেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন