২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

মাছের সঙ্গে এ কেমন জঘন্য শত্রুতা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৯ অপরাহ্ণ, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

বাবুগঞ্জে ঘেরে বিষ প্রয়োগে শতাধিক মণ মাছ নিধন: ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

✪ আরিফ আহমেদ মুন্না ॥
বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য খামারের একটি ঘেরে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১২০ মণ মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষরা। উপজেলার দক্ষিণ দেহেরগতি গ্রামের আলাউদ্দিন কন্ট্রাক্টরের বাড়ির রাব্বি মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামার মালিক। এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রাব্বি মৎস্য খামারের মালিক মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ওরফে আলাউদ্দিন কন্ট্রাক্টর জানান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঠিকাদারী কাজের পাশাপাশি তিনি গ্রামের বাড়ির প্রায় সাড়ে ৩ একর জমিতে থাকা ৫টি পুকুর ও ঘের নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। সোমবার ভোরে ফজর নামাজ পড়ে তিনি খামারে হাঁটতে বের হলে ১ একর লম্বা একটি ঘেরে হাজার হাজার মরা মাছ ভাসতে দেখেন। এসময় ওই ঘেরের আরও কিছু মাছ মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট এবং লাফালাফি করছিল। পরে ৪টি সেচ পাম্প লাগিয়ে পানি কমিয়ে ও জাল টান দিয়ে রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১২০ মণ (৪ হাজার ৮০০ কেজি) মরা মাছ উদ্ধার করা হয়।

খামার মালিক আলাউদ্দিন কন্ট্রাক্টর আরও জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার ঘেরের পাশে দক্ষিণ দেহেরগতি গ্রামের ফারুক খলিফা, মালেক হাওলাদার ও এস্কেন্দার হাওলাদারকে দাঁড়িয়ে শলাপরামর্শ এবং লাঠির সাহায্যে কিছু একটা পানিতে ছুঁড়তে দেখেন। এসময় তিনি তাদের নাম ধরে ডাক দিলেও তারা কাছে না এসে দ্রুত সটকে পড়েন। তবে রাতের এ ঘটনাকে তিনি বড়শি দিয়ে মাছ চুরির চেষ্টা ভেবে আর আমলে নেননি বলে জানান আলাউদ্দিন কন্ট্রাক্টর।

তিনি বলেন, একই গ্রামের মালেক হাওলাদারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৩/১৯) করা হয়েছিল। তবে পূর্ব শত্রুতা থাকলেও এমন একটা জঘন্য ঘটনা ঘটাতে রাতে তারা ঘেরের পাশে দাঁড়িয়েছিল এটা চিন্তায়ও আসেনি। খবর পেয়ে সকালে মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন হাওলাদার, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস জানান, মৃত মাছের সংগৃহীত নমুনা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে নাশকতার উদ্দেশ্যেই পানিতে কেমিকেল জাতীয় বিষ প্রয়োগ করে পানির অক্সিজেন নষ্ট করার মাধ্যমে ওই বিপুল পরিমান মাছ মারা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ৩ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এছাড়াও একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন