১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ‘বাসর’ শেষে পালালেন বর, খুঁজতে গিয়ে হাতুড়িপেটায় হাসপাতালে নববধূ বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ভিসি বরিশালে হাসপাতালের প্রিজনসেলে আসামি খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন মঠবাড়িয়ায় প্রাণিসম্পদের সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী -২০২৪ অনুষ্ঠিত উজিরপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্ভোধন করেন রাশেদ খান মেনন এমপি কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে পছন্দের প্রাথীর পক্ষে প্রচারে নেমেছেন স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ

মাটি খুঁড়লেই মিলছে হীরা! গ্রামে তোলপাড়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩০ অপরাহ্ণ, ২৮ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: মাটি খুঁড়লেই উঠে আসছে হীরার টুকরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাতারে কাতারে গুপ্তধন সন্ধানী ভিড় করছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য নাগাল্যান্ডের ওয়ানচিং গ্রামে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় নাগাল্যান্ডের মন জেলার এই গ্রামে টিলার ওপরের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় মাটির নিচে বেশকিছু স্ফটিকের টুকরো খুঁজে পান কয়েকজন গ্রামবাসী। তাদের মুখ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। সবাই ধরে নিয়েছে, ওই স্ফটিক নির্ঘাত হীরার টুকরো। সঙ্গে সঙ্গে তোলপাড় পড়ে যায় গ্রামজুড়ে। সবাই কোদাল-বেলচা-গাঁইতি কাঁধে পৌঁছে যান টিলার ওপরের জঙ্গলে। শুরু হয় মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন উদ্ধারের চেষ্টা।

এদিকে অত্যুৎসাহীরা সেই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে হীরে আবিষ্কারের গল্প ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তার জেরে ওয়ানচিং গ্রামে ভিড় জমতে শুরু করে হিরা সন্ধানীদের। বাধ্য হয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়ানচিং গ্রাম পঞ্চায়েত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টের ওপরেও জারি হয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ।

এদিকে মন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই খবর পৌঁছেছে প্রশাসনের কানেও। উদ্ধার হওয়া স্ফটিকগুলো সত্যিই হীরা কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ওয়ানচিং গ্রামের উদ্দেশে শুক্রবার রওয়ানা হয়েছেন চার ভূ-তাত্ত্বিক। ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের গ্রামে পৌঁছানোর কথা।

সরেজমিনে তদন্তের পরে তারা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।

মন জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া স্ফটিক আদৌ হীরা কিনা, তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তবে হীরে না হলেও স্ফটিকগুলো কোয়ার্টজ জাতীয় পাথরের ভগ্নাবশেষ বলে তিনি মনে করছেন।

বিভিন্ন কাজে সহায়ক হওয়ায় তার মূল্যও কম নয় বলে তার দাবি। ফলে তাতে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্থানীয়দের, মনে করছেন ডেপুটি কমিশনার।

যদিও বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান না করা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য ভিত্তিহীন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন