১০ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

মাদকের সঙ্গে অস্ত্রের ব্যবসা :আটক ৩

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৭ অপরাহ্ণ, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: ঢাকার আশুলিয়া থেকে অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহনকালে দুটি শটগান ও ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে (র‍্যাব)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে র‍্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর আশুলিয়া থানাধীন গৌরীপুরের বি বাংলার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- মো. সুমন (৩০), কামরুজ্জামান রাসেল (৩১) ও মো. আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ (২৬)। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে ফেনসিডিল নিয়ে আসে। পরে ফেনসিডিলের চালানগুলো বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে ও প্রাইভেটকারে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হয়।

এই চক্রের অন্যতম সদস্য দিনাজপুর জেলার জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধভাবে ফেনসিডিলের চালান দেশে নিয়ে এসে তার সহযোগী আটক আসামি সুমন ও রাসেলের মাধ্যমে মাদকের চালান রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসে। পরে ঢাকায় আটক অপর সহযোগী আসাদের মাধ্যমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে বলে জানায়।

আটক সুমন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক। ১২ বছর ধরে প্রাইভেটকার চালিয়ে আসছিলেন। প্রাইভেটকার চালানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত।

দিনাজপুর জেলার পলাশবাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলের চালান নিয়ে এসে রাজধানী ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এর আগেও তিনি ৮-১০টি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। চালানপ্রতি তিনি পেতেন ২০ হাজার টাকা।

মাদক পরিবহনে সুমনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন রাসেল। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, দিনাজপুর সদরে তার একটি মোবাইল টেলিকমের দোকান আছে। মোবাইল টেলিকমের ব্যবসা করার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নিজেও মাদকাসক্ত। এর আগে তিনিও আটটি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করে চালানপ্রতি নিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা।

অন্য আটক আসাদ ঢাকার একটি বায়িং হাউজে কর্মরত। তিনিও বায়িং হাউজে চাকরির পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সুমন ও রাসেল মাদকের চালান ঢাকায় নিয়ে আসার পর তিনি রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় এ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন