২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মাদক বিক্রেতাদের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১০ অপরাহ্ণ, ২৮ জুন ২০২২

মাদক বিক্রেতাদের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: মাদক বিক্রেতাদের কুপিয়ে জখম করা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম শুভ জানিয়েছে। গত ২০ এপ্রিল বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. আবুল বাশারকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করা হয়।

আবুল বাশার সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পদ থেকে অবসরে ছিলেন। বাশার বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের মৃত সুজারউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।

সেনা সদস্যর ভাই আবুল কালাম জানান, প্রতিবেশি উমর আলী, তার তিন ছেলে বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দাম ইয়াবা বিক্রি করে। এছাড়াও চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত তারা। তাদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় বাশারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। গত ২০ এপ্রিল সকালে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে চন্ডীপুর গ্রামে অভিযান করে। এ সময় বাশার পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেছিলো। তাই তাদের সম্পর্কে পুলিশে তথ্য দেয়ার অভিযোগ এনে বিকেলে বাবা উমর আলী, মা রানী বেগম ও তিন বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দাম ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা বাশারকে মারধর ও এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে জখম করে।

বাশারের ডাক-চিৎকারে এগিয়ে গেলে তার উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। বাশারকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওয়া ঢাকার সিএমইএইচ এ ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা গেছে।

আবুল কালাম আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি (কালাম) বাদী হয়ে বাবা-মা ও তিন ছেলেকে আসামী করে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন।

আবুল বাশারের ছেলে শুভ জানায়, তার বাবা সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরেল পদে ছিলেন। শান্তিরক্ষী মিশনে কুয়েত গিয়েছিলেন। এছাড়াও সেনা বাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ১৯৯১ ও ৯৬ সালে সংসদ পদক এবং সিলভার জুবিলী পদক পেয়েছেন। ২০০১ সালের ২ জানুয়ারী অবসরে এসেছেন।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেস চন্দ্র হালদার জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। ঢাকায় তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হবে। তাকে কুপিয়ে জখমের মামলার আসামী বেল্লাল বর্তমানে জেলে রয়েছে। অব. সেনা সদস্যর মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

তাকে কুপিয়ে জখমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি যুক্ত করা হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন