২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মামলা তুলে নিতে থানায় নিয়ে বাদীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

Saidul Islam

প্রকাশিত: ০১:১৪ অপরাহ্ণ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মামলা তুলে নিতে থানায় নিয়ে বাদীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> মামলা তুলে নিতে বাদীকে থানায় নিয়ে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বরগুনা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন বাদী বিনয় চন্দ্র শীল।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিনয় চন্দ্র শীল সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন নরসুন্দর।

সংবাদ সম্মেলনে বিনয় চন্দ্র শীল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী ও মাদকাসক্ত ছেলেদের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে মীমাংসা করতে সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য খালেদা ইসলাম সুইটির শরণাপন্ন হন তিনি। সালিশ বৈঠক হলে খালেদা ইসলাম সুইটি রোয়েদাদ লিখবেন বলে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেন।

পরে ওই কাগজে ছেলে ও স্ত্রীর নামে জমি লিখে দিতে বলা হয়ে তাকে। বারবার অনুরোধের পরও ওই স্বাক্ষরযুক্ত সাদা কাগজ ফেরত না পেয়ে জেলা আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহাবুব আলম।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলা তুলে নিতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাইঠা বাজার থেকে জোরপূর্বক তাকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান।

এসময় তাকে বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এসময় খালেদা ইসলাম সুইটি এবং তার পক্ষের লোকজনও থানায় উপস্থিত ছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান বিনয় চন্দ্র শীল।

বিনয় চন্দ্র শীলের বাবা বলরাম চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় কোন মামলা নেই। কোথাও কোনো অভিযোগও নেই। তারপরও আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে নির্যাতনের বিচার চাই।

এ বিষয়ে খালেদা ইসলাম সুইটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে বিনয় চন্দ্র শীল যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। বিনয় ও তার স্ত্রী-পুত্রের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসায় সালিশ হয়েছে। রোয়েদাদ লেখার কাজ চলছে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, তিনি ওইদিন রাত ১০টা থেকে থানায় ছিলেন না। এসময় ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মামলার বাদী বিনয় চন্দ্র শীল এবং বিবাদী খালেদা ইসলাম সুইটিকে নিয়ে মিল-মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, বিস্তারিত জেনে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন