২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

মালয়েশিয়ায় বিয়ের হাট, পাচার হচ্ছেন রোহিঙ্গা তরুণীরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অবাধে ক্যাম্প ছেড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। এ জন্য কক্সবাজার উপকূল আর ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় দালালচক্র। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা তরুণীরা ঘর বাঁধার স্বপ্নে টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, নিজ দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ক্যাম্প জীবন ছেড়ে ভালো থাকার প্রলোভনেই এ বিপদসংকুল পথে পা বাড়াচ্ছেন তারা।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালীপাড়া সমুদ্র পয়েন্ট। ৫ দিন পাহাড়ে রাখার পর এই পয়েন্ট দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য রোহিঙ্গাদের তুলে দেয়া হয় ট্রলারে।

প্রাণ হাতে নিয়ে সাগরযাত্রা। তারপর ট্রলারডুবির পর পুলিশি হেফাজতে রোহিঙ্গারা। যাদের বেশিভাগই তরুণী। যাদের চোখে মুখে ছিল মালয়েশিয়া যাবার স্বপ্ন। কিন্তু ট্রলারডুবির ঘটনায় ভেঙে যায় তাদের ঘর বাঁধার স্বপ্ন।

একজন বলেন, তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বিয়ে করতে।

স্থানীয়রা বলছেন, নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরার অনিশ্চয়তা এবং ক্যাম্প জীবন ছেড়ে ভালো থাকার প্রলোভনেই তারা এ বিপদসংকুল পথে পা বাড়াচ্ছেন। যার জন্য ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় দালালচক্র।

একজন বলেন, সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি। যেখানে ট্রলার দিয়ে গেলেই হয়। সেখানে যেতে কোনো পাসপোর্ট লাগে না। কিছু টাকা দিয়ে দালাল শ্রেণির সঙ্গে যোগাযোগ করে যাওয়া যায়।

আরেকজন বলেন, মালয়েশিয়ায় একটি বিয়ের হাট বসে। তাদের বিয়ের দেয়ার কথা বলে রোহিঙ্গা নারীদের পাচার করে সেখানে বিক্রি করে দেয়।

কক্সবাজার উপকূলে সাগরপথে লোক নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় ১০টিরও বেশি পয়েন্ট। এখন অভিযান শিথিল হয়ে পড়ায় আবার সক্রিয় দালালরা।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের মতো করে তৎপর রয়েছি। যতটুকু জানি বিভিন্ন বাহিনী এ বিষয়ে তৎপর। রোহিঙ্গারা যাতে কোনো দিকে পাচার না হয় সে জন্য কোস্টগার্ড-বিজিবি-র‌্যাব সদস্যরা নজর রাখছে।

সেন্টমার্টিনে গত মঙ্গলবার ভোরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ নারী ও ৩ শিশুসহ মোট ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড় জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭২ জনকে।

২০১৫ সালে তৈরি করা পুলিশের তালিকা অনুসারে, কক্সবাজারসহ সারাদেশে মানবপাচারকারীর সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন