২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মিয়ানমারে মাদক আনতে গিয়ে জিম্মি কারবারিরা

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ০২ অক্টোবর ২০২২

মিয়ানমারে মাদক আনতে গিয়ে জিম্মি কারবারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,  বরিশাল: মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের কাছে মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবার চালান আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল সাম্প্রতিক সময়ে। নিত্য নতুন কৌশলে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান ঢুকছে বাংলাদেশে।

 

মিয়ানমারের মাদক মাফিয়াদের কাছে নগদ টাকা অগ্রিম দেওয়া ঝুঁকি বিবেচনা করে কারবারিরা মানুষ বন্ধক রাখা শুরু করেছে। আর এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ঢুকছে দেশে।শর্ত মতে মাদকের টাকা পরিশোধ না করলে বন্ধক ব্যক্তির ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।

 

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সাথে সিন্ডিকেট করে মাদক কারবার এবং মিয়ানমারে মানব বন্ধক রেখে মাদক কারবার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে- মাদক নয়, মানব জিম্মি রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা।

 

জানা গেছে, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং শেয়াইল্লা পাড়ার নুরুল আমিন, রোহিঙ্গা নুরুজ্জামান ক্যাম্প ২২, রোহিঙ্গা মোহাম্মদ থ্যাংখালী ক্যাম্প মিয়ানমারে মাদক আনতে গেলে তাদেরকে জিম্মি করে মিয়ানমারের মাদক মাফিয়ারা। তাদের মুক্তির জন্য ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

 

জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং সীমান্ত এলাকা খালেরমুখ নামক স্থান দিয়ে নুরুল আমিন, রোহিঙ্গা নুরুজ্জামান, রোহিঙ্গা মোহাম্মদ সীমান্ত বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে রাতের আধারে ইয়াবা ক্রয় করা জন্য ছোট নৌকা যোগে মিয়ানমারের প্রবেশ করে।

 

পরবর্তীকালে মিয়ানমারের ইয়াবা কারবারিরা উক্ত তিনজনকে জিম্মি করে বাংলাদেশের ইয়াবা কারবারিদের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে জানা যায়। একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে- টেকনাফ উনচিপ্রাং সীমান্ত এলাকা নাফ নদীর ঘেঁষে রমজান আলী লেদু নামে এক ব্যক্তির চিংড়ির ঘের রয়েছে।

 

দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে মাদক ব‍্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন রমজান আলী সিন্ডিকেট। উল্লেখ্য মাদকের গডফাদার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার (৩৪), নুরুল হক ছেলে মো. আবদুর রহমান প্রকাশ ডালিম (৩৬), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জামালকে ( ৪২) উক্ত মাদক সিন্ডিকেটের নৌকা যুগে জনপ্রতি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবা আনতে পাঠিয়েছিল মিয়ানমারে।

 

সূত্রে আরও জানা যায়, মিয়ানমারের ইয়াবা কারবারিরা রমজান আলীর সিন্ডিকেটের কাছে পূর্বে ইয়াবা টাকা পাওনা ছিল। ইয়াবা পাওনা টাকা উদ্ধার করার লক্ষ্যে স্থানীয় একজন ও দুইজন রোহিঙ্গাকে আটক করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।

 

টাকা না দিলে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা যায়। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং রমজান আলী মেয়ের জামাই কিছু পূর্বে তুলাতুলী এলাকায় ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছিল বলে সূত্রে প্রকাশ।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন