২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

মুজিববর্ষে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘কাফের’ ঘোষণার দাবি বাবুনগরীর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: মুজিববর্ষে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবিতে দিনব্যাপী এ সমাবেশের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত নামের একটি সংগঠন।

এদিন সমাবেশ উপলক্ষে শহরসহ আশপাশের গ্রাম ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন।

সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে তিন শতাধিক পুলিশ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

সম্মেলনে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার পাশাপাশি ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, বাড়িঘর ও মসজিদে হামলার নিন্দা জানানো হয়।

সেই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করা হয়।

সম্মেলনে সাত দফা দাবিসংবলিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আল্লামা সাজিদুর রহমান। মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা আশেক ইলাহী ইব্রাহিমী।

সমাবেশে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানিরা কখনও মুসলমান হতে পারে না, তারা শয়তান, তারা কাফের।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কেউ যদি মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নবী না মানেন, ওই ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবেন। তওবা না করলে তিনি আর মুসলমান হতে পারবেন না।

হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকেই কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। সরকারের কাছে দাবি করছি– ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে।

‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে, আমাদের দেশেও করতে হবে। নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ইজ্জত-সম্মান রক্ষায় আমাদের জীবন দিতে হবে।’

সম্মেলনে মুফতি শাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, ভারতের মুসলমানদের অবস্থা এখন খুবই নাজুক। মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে। ভারতের বিভিন্ন এলাকার মসজিদের মিনারে উঠে মাইক ভেঙে ফেলা হচ্ছে, হনুমানের ছবি বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। চোখে অ্যাসিড দিয়ে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জঙ্গিসন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে পা রাখলে আবার একটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে। মোদি মানবতা, ইসলাম ও বাংলাদেশের দুশমন। তাকে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুফতি মোবারক উল্লাহ, আল্লামা শামসুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী প্রমুখ।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন