২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন (!)

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৪ অপরাহ্ণ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন প্রায় ৪ মাস আগে। অথচ এক ইউপি চেয়ারম্যান তাকে জীবিত দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আর সেই প্রতিবেদনের আলোকে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মদনপুরা ইউনিয়নের মধ্যমদনপুর গ্রামের আবুল হোসেন হাওলাদার এবং তাঁর অপর ভাই মো. খলিলুর রহমানকে আসামী করে ২০১৭সালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তাদের ভগ্নিপতি মো. জসিম মৃধা। (মামলা নম্বর, সি আর-৪৭৫/২০১৭) আদালত অভিযোগেটি আমলে নিয়ে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খাঁনকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার ১নম্বর আসামী আবুল হোসেন খাঁন গত বছর ২ সেপ্টেম্বর মারা যান। কিন্তু বাউফল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন ওই বছর ২৩ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনে আবুল হোসেনকে জীবিত দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বাদীর আনিত অভিযোগ সত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন উল্লেখ করেন, বাদীর মানিত স্বাক্ষী এবং পাশ্ববর্তী লোকজনের সাথে কথা বলে তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। প্রতিবেদনের কোথাও ১ নম্বর আসামী আবুল হোসেন মারা গেছেন এমন কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর এমন প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আদালত ওই দুই আসামীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গ্রেফতারি পরোয়না জারি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনার মৃত আবুল হোসেনের ছোট ভাই ২ নম্বর আসামী মোঃ খলিলুর রহমান বলেন- আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। একটি মিথ্যা এবং সাজানো মামলায় কোনো ধরনের সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই চেয়ারম্যান কর্তৃক আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন খান বলেন, মামলার বাদী আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং বিবাদীগন আমার পার্শ্ববর্তী মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। মামলায় উল্লেখিত স্বাক্ষীগনের মধ্যে উপস্থিত স্বাক্ষীগনের জবানবন্দীর ভিত্তিতে আমি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। কিন্তু ১ নম্বর আসামী আবুল হোসেন মারা গেছেন এই বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ভুল বোঝাবুঝি কারণে এমনটি হয়েছে।’’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন