২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মেজর রাশেদ হত্যা: চার পুলিশসহ ৭ আসামি রিমান্ডে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৪৯ অপরাহ্ণ, ১২ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চার পুলিশসহ সাত আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার (১২ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মঙ্গলবার মামলার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেছিল র‌্যাব।

এরও আগে ওই চার পুলিশ সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের সেই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে র‌্যাব। তবে একইদিন টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যাহার হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ড দেওয়া হলেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি র‌্যাব।

অপরদিকে সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার ভোররাতে বাহারছড়া এলাকা থেকে নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছকে গ্রেফতারের পর দুপুরে তাদের কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়। তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য ৩ জুলাই কক্সবাজার এসেছিলেন। এই কাজে তার সহযোগী ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সিফাত, শিপ্রা রানী দেবনাথ এবং তাদের সহপাঠী তাহসিন রিফাত নুর। প্রামাণ্যচিত্রের প্রযোজক ছিলেন সিনহা। তারা সবাই উঠেছিলেন হিমছড়ি সৈকত তীরের নীলিমা রিসোর্টে। গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিফাত। পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়াও তারা হিমছড়ির যে রিসোর্টে ছিলেন সেখান অভিযান চালিয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিপ্রা রানী দেবনাথ ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী তাহসিন রিফাত নূরকে আটক করে পুলিশ। পরে রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মদের বোতল রাখার অভিযোগে মাদক আইনে একটি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো। আর তাহসিন রিফাত নূরকে মুচলেকা রেখে এক আত্মীয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ৫ই আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ই আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্নসমর্পণ করেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন