বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, ১৬ মে ২০২২
আপডেট:
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:: ভোলার লালমোহনের ‘ধলিগৌরনগর মাহমুদা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার মাও: নূরুল ইসলামকে অফিস কক্ষে দুই শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মিলে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার মাদ্রাসা চলাকালীন দুপুরের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হলে ওই সুপারকে উদ্ধার করে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আহত সুপার নূরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাও: জামালউদ্দিন আমাকে না জানিয়ে মাদ্রাসার ইউনিক আইডি ও উপবৃত্তি আইডি পার্সওয়ার্ড পরিবর্তন করেন। এনিয়ে তাকে রাগারাগি করি। অন্যদিকে, ২০২২-২৪ সালের জন্য বিধি অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠন করলে সভাপতি থেকে বাদ পড়েন মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ইউসুফ মিয়া। এতে করে ক্ষিপ্ত হন ইউসুফ মিয়া ও মাদ্রাসার শিক্ষিকা এবং তার স্ত্রী রাফিয়া আক্তার চৌধুরী। আর আগের রাগারাগির জন্য তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সহকারী মৌলভী মাও: জামালউদ্দিন। এ তিনজন জোট বেঁধে ঘটনার দিন মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে অফিস কক্ষে ডুকে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে। এতে করে গুরুতর আহত হলে আমাকে উদ্ধার করে শিক্ষক ছানাউল্লাহ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত সহকারী মৌলভী মাও: জামালউদ্দিনের কাছে এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন তিনি। এরপর বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষিকা রাফিয়া আক্তার চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার শশুরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় আমার স্বামী রাগান্বিত হয়ে সুপারকে চড়-থাপ্পড় দেন।
অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসাটির সাবেক সভাপতি ইউসুফ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। সুপার উল্টাপাল্টা কথা বলেছে তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে মারধর করেছি।
ঘটনার ব্যাপরে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা সুপারের ওপর হামলার বিষয়ে মোবাইলে জেনেছি। ওই সুপারকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি।’
