১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

যশরাজ ফিল্মস বাংলাদেশের সিনেমা ও শোবিজে কাজ করতে আগ্রহী – রানী মুখার্জি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৮ অপরাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

ইয়াশ চোপড়া শুধু একটি নাম নয় সেই মহাকাব্যিক কারিগর যিনি ভারতীয় সিনেমাকে আধুনিকায়নের সাথে সাথে দিয়েছেন অনেক কিছু। তার কষ্টে গড়া স্বপ্নের যশরাজ ফিল্মস প্রোডাকশন হাউস আজ সম্পূর্ন এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ফিল্ম প্রোডাকশন হাউস যা পুরো বিশ্বকে দিয়েছে সুপারস্টার কিং অফ রোমান্স শাহরুখ খান, কাজল, আনুশকা শার্মা, হালের হার্টথ্রব রনবীর সিং এবং আরো অনেক প্রতিভা।

২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ত্বত্তাবধায়নে থাকা লাহোর, পাঞ্জাবে জন্ম গ্রহন করেও তার অকাল পরিশ্রম এবং আধুনিক সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ভারতীয় ফিল্ম চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গিয়েছেন। তার কর্ম জীবনে নানা পুরষ্কারের মধ্যে ৬টি জাতীয় পুরষ্কার তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ জায়গায় বিচরন করিয়েছেন।

২০১২ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার পর তার বড় ছেলে আদিত্য চোপড়া তার জায়গায় চেয়ারম্যান হয়ে স্থলাভিষক্ত হন এবং তার ছোট ছেলে উদয় চোপড়া ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন। ২০১৪ সালে আদিত্য চোপড়া ভারতীয় অভিনেত্রী রানী মুখার্জি কে বিয়ের করেন, এবং বিয়ের ১ বছর পর রানী মুখার্জি  সিইও হিসেবে যশরাজ ফিল্মস এ যোগদান করেন।

ধীরে ধীরে নতুনত্বের ছোয়া লাগতে শুরু করে যশরাজ ফিল্মস এ। ইয়াশ চোপড়ার স্বপ্ন ছিল পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তার যশরাজ ফিল্মস প্রোডাকশন হাউসের শাখা থাকবে এবং অন্যান্য ভাষাতেও চলচিত্র তৈরী করবে। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার ২ ছেলে এবং রানি মুখার্জী কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তারা তামিল ইন্ডাস্ট্রির অনেক চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউশন রাইট নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও হলিউডের অনেক চলচিত্র হিন্দিতে ডাবিং করে ভারতে মুক্তি দেয়ার কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারতীয় সফরকালে যশরাজ ফিল্মসের  হিসেবে রানী মুখার্জি তার সাথে দেখা করে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট-২০১৯’ উপলক্ষে চার দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী হিন্দি ভাষায় বলেছিলেন, পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না কেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতার সাড়া দেন হাসি আর করতালিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এভাবে হিন্দি বলার দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রানি।সেই মুগ্ধতা প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক পেজে কয়েকটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলেও সম্বোধন করেন। প্রশংসা করেন তার শক্তিশালী নেতৃত্বের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এশিয়ার গ্রেট লিডার হয়ে উঠছেন।’ তিনি যশরাজ ফিল্মসের প্রতিনিধি হিসেবে এ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশ নেন।তিনি পোস্টে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রের জন্য শুভকামনা জানান।

পাশাপাশি বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের মাধ্যমে দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে ভূমিকা রাখতে তিনি প্রস্তুত বলে জনান। শিগগিরই একটি টিম নিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। যশরাজ ফিল্মস বাংলাদেশের সিনেমা ও শোবিজে কাজ করতে আগ্রহী। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে মাথায় রেখে ‘যশরাজ ফিল্মস বাংলাদেশ’ নামে একটি শাখাও চালু করেছে।

শিগগিরই হয়তো ঢাকায় শুরু হবে তাদের অফিশিয়াল কার্যক্রম। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসার কথা ব্যক্ত করে বলেছেন – আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল তাই বাংলাদেশ আমার ২য় বাড়ি তাই সেই নারীর টানে আমাকে তো আসতেই হবে। আমার শশুরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা কামনা করছি এবং বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে শুধু সুযোগের অভাবে তা হারিয়ে যাচ্ছে আমরা সেই প্রতিভা দের সেই সুযোগ দিতে চাই।

একজন বাঙ্গালী হয়ে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে চাই আর বাংলা ভাষার সেই ঐতিহাসিক ইতিহাস বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে ব্যাতিত সম্ভব নয়। বাংলাদেশ আমি শীঘ্রই আসছি। খুব শীঘ্রই একটা বড় চমক বাংলাদেশকে দিতে যাচ্ছি। শুধু এইটুকু বলতে চাই সব খেলায় হারজিত থাকে কিন্তু সব হারের পর একটা গল্প থাকে আর সেই গল্পটা এইবার বাংলাদেশ লিখবে – ক্র্যাক প্লাটুন জয় বাংলা

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন