২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

যেসব এলাকা মুক্ত আজ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২১ অপরাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

আজ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিভিন্ন এলাকা হানাদারমুক্ত হয়েছে। যেদিন এসব এলাকায় উড়ানো হয় বিজয় পতাকা। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিরা জানান-

বগুড়া ব্যুরো : ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ও সান্তাহার জংশন শহরমুক্ত দিবস। দিবসটি পালনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই শেরপুরে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়।

গঠন করা হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। কমান্ডার নিযুক্ত হন ন্যাপ নেতা সিদ্দিক হোসেন বারি। স্থানীয় ডিজে হাইস্কুল মাঠে থানা থেকে দেয়া রাইফেল দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অপর দিকে আজ ১৪ ডিসেম্বর বিহারি অধ্যুষিত আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেল জংশন শহর হানাদারমুক্ত দিবস। এ দিনে মুক্তিযোদ্ধারা ত্রিমুখী আক্রমণ চালিয়ে সান্তাহারকে শত্র“মুক্ত করেন। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, সান্তাহারে বিহারির সংখ্যা বেশি হওয়ায় হানাদাররা এখানে ঘাঁটি স্থাপন করে।

জয়পুরহাট : আজ জয়পুরহাট জেলা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১-এর অগ্নিঝরা আজকের দিনে উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত জেলা জয়পুরহাট সম্পূর্ণরূপে শত্র“মুক্ত- স্বাধীন হয়েছিল। পত পত করে সেদিন মুক্ত আকাশে উড়েছিল পরম আরাধ্য স্বাধীনতার বিজয় পতাকা। জয়পুরহাট জেলা হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার ‘পাগলা দেওয়ান’ ও বিকালে কড়ই-কাদিপুর বধ্যভূমিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

কালাই (জয়পুরহাট) : আজ কালাই উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদারদের বিতারিত করে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা এ উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেন। এদিন কালাইয়ের মাটিতে উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। আজও এ দিনটিকে গর্বভরে ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন কালাই উপজেলাবাসী।

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচবিবির আকাশে সগর্বে উড়িয়ে দিল সাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত বিজয় পতাকা। পাঁচবিবি হয়েছিল পাক হানাদারমুক্ত। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ীর বেশে পা রেখেছিল বাংলার মাটিতে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন