২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

যে শহরের সব ভবন নির্মাণে ব্যবহার হয় হীরা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৭ অপরাহ্ণ, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মস্তবড় এক শহর। এই শহরেই ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৭২ হাজার টন হীরা। কিন্তু সেগুলো নেয়ার কোনো মানুষ নেই। শুনতে হবাক লাগলেও এমন দৃশ্য রয়েছে জার্মানির বাভারিয়া স্টেটের নর্ডলিনজেন নামক এক এলাকায়।

তবে হীরা কেউ সংগ্রহ না করলেও শহরের স্কুল, মাঠ, হোটেল এমনকি আবাসিক ভবন নির্মাণে ব্যবহার হয় এই হীরা। কিন্ত এর জন্য অতিরিক্ত কোনো মূল্য দিতে হয় না।

প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে ২৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে এক গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীর বুকে। জার্মানির ওই এলাকায় পড়েছিল সেই গ্রহাণু। ফলে যে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিল জার্মানির এই জায়গায়, তা এই গোটা শহরটারই সমান। এভাবেই শহরটার উৎপত্তি।

এই বিস্ফোরণে সৃষ্ট মারাত্মক চাপ ও তাপের ফলে ‘কোর্স-গ্রেইনড’ পাথর সুয়েভাইট তৈরি হয়েছিল। এতে থাকে কাঁচ, কার্বন কেলাস ও হীরা।

সংঘর্ষের পরে এই হীরাই ছড়িয়ে পড়েছিল এই শহরে। কিন্তু তা এতটাই সূক্ষ্ম যে, সেগুলি খালি চোখে দেখা যায় না। ষাটের দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন, এই হীরা গ্রহাণু থেকেই এসেছে।

৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে এই শহরের বাসিন্দারা সুয়েভাইট দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন। গির্জা থেকে সাধারণ বাড়ি, সবই তৈরি হয় এই হীরার পাথর দিয়ে। এই সময় থেকেই বসতি গড়ে ওঠে এই শহরে।

যেহেতু নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে সূক্ষ্ম হীরার কুচি লুকিয়ে রয়েছে, তাই প্রতিটি বাড়িও তো এক অর্থে হীরার বাড়ি। প্রায় ৭২ হাজার টন হীরা রয়েছে এই শহরের বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে।

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন