২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

রাকিব ছাড়াও নাসিরের স্ত্রীর ছিল আরও এক স্বামী!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০২ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বসন্ত আর ভালোবাসার দিনে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের একসময়কার নিয়মিত মুখ ‘ব্যাডবয়’ খ্যাত তারকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। গত রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে স্বল্প পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এরইমধ্যে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ পেল, যা শুনে হতভম্ব নাসিরের ভক্তসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গন।

বিভিন্ন মাধ্যম জানা গেছে, নাসিরের সহধর্মিণী তামিমা হোসেন তাম্মির এটাই প্রথম বিয়ে নয়। তার আরও এক স্বামী রয়েছে এবং সেই সংসারে ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। আর সেই স্বামী-সন্তানকে ফেলে এসে নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিমা।

তামিমার সেই স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। তামিমা তাকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন রাকিব হাসান। ইতোমধ্যে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করেছেন রাকিব। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেই জিডির কপিতে আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জিডিতে লেখা অনুযায়ী, রাকিব-নাসির ছাড়াও তামিমার ছিল আরেক সংসার। যেখানে তামিমা সংসার করেছেন মাত্র ৬ মাস। আর এটি হয়েছে রাকিবের সাথে সংসার চলাকালীন সময়েই।

ছয়মাস সংসার করার পর রাকিবের কাছে ফিরে এসে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তামিমা। তামিমা বলেছিলেন, কখনো এমন হবেনা। এরপর মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে তাকে ক্ষমা করে দেয় রাকিব হাসান। কিন্তু এর কয়দিন পর নাসিরের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

রাকিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি। বছরচারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পাইয়ে দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে (তামিমা) বদলে যেতে থাকে।

বিমানে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর কারণে তাকে কম কাছে পেতে থাকি। এরইমধ্যে আমাদের মেয়ের দেখভালের জন্য তার মাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসি। এতে উপকারের বদলে অপকারই হয়।

ঝগড়া এড়াতে আমি গত এক বছর ধরে একা অন্য একটা বাসায় ভাড়া থাকছি। এরইমধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ফেসবুক আর গণমাধ্যমে দেখি আমার স্ত্রী বধূবেশে ক্রিকেটার নাসিরের পাশে।

আপ্লুতকণ্ঠে রাকিব হাসান বলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি।আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?- এমন প্রশ্নও রাখেন তামিমার প্রথম স্বামী।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া রাকিবের সঙ্গে নাসিরের একটি অডিও কলও রয়েছে। যেখানে নাসির রাকিবকে ফোন দিয়ে জানতে চান কেনো তিনি জিডি করেছেন।

ওই ব্যক্তির প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সব কিছু জেনে-শুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল, সবকিছুই আমি জানি। আপনার বউ আপনার সঙ্গে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসত না।’

13 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন