১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

লকডাউন শিথিলতা নাকি মৃত্যুর মিছিল!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, ১৩ মে ২০২০

শিব্বির দেওয়ান, অতিথি প্রতিবেদক:: ভাইরাসজনিত রোগ করোনার সংক্রমন বেড়ে রোগীর সংখ্যা হু হু করে ধাবিত হচ্ছে। সচেতন সতর্কতা আদেশ উপদেশ যদি মেনে চলা না হয়। তাহলে পরিসংখ্যান লক্ষ্যণীয় মৃত্যুপুরী হতে পারে বাংলাদেশ। এখনি তবে সচেতনার শ্লোগান তুলে আরো বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত। সকলের জায়গা থেকে সকলে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। অসচেতন তিন দ্বিতীয়াংশ থাকলে কারও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নাজুক।

তবুও চিকিৎসক গণসেবার ব্রতে প্রতিকারের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনযুদ্ধে করোনার সাথে সংগ্রাম করে দেশ জাতিকে এগিয়ে রাখছে। জাতির এই সংকটকালে চিকিৎসকগণ করোনাযুদ্ধে সৈনিক হয়ে কাজ করে বা করছেন। যা দেশ প্রেম মানব প্রেম সেবা কর্তব্য দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করছে। জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা। সরকারী সুবিধাসমূহ নয়ছয় করে বণ্টন করে দায়হীন মনভাবে ছিঁটকে পড়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ। কিছু জনপ্রতিনিধি ছাড়া বেশির ভাগই সেবাহীন উদাসহীন। সামাজিক সংগঠন সেবার মানদন্ডে ন্যায়বোধে মানবিকতায় উজ্জল দৃষ্টান্ত।

সবাই যখন দায়বোধ এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেকে সঁপে দিয়ে কাজ করছে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। বিশ্বময় দেশ জাতি যখন আতঙ্কে নির্বাক। উদাসীন মনোভাব লক্ষ্যণীয়। করোনা ভাইরাস থেকে মানুষ যখন নিরাপদে থাকার রাখার কথা। লকডাউন শিথিল করে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে কিভাবে করোনা রোধ করা হবে বোধগম্য নয়। লকডাউন শিথিলতা নাকি মৃত্যুর হাতছানি। দায়বোধে হাজার ও প্রশ্ন? আমি তুমি সে। সবাই সবার জায়গায় ঠিক। তবে কেন? বাজারকেন্দ্রিক জনসমাগম ভাইরাস ছড়ানোর কেন্দ্রবিন্দু নয় কি?

করোনার মত ভয়ানক ভাইরাস উপেক্ষা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রবমূল্যে বাড়িয়ে জনজীবনে দীর্ঘশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি ও অতিরিক্ত মূল্য রোধে অভিযান অব্যাহত। দায়িত্বশীলেরা বেফাঁস কথা বলে হাসির খোড়াকে পরিণত হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। দেশ জাতির কল্যাণে দায়বোধ থেকে দায়িত্বশীল হয়ে দেশ জাতির মুক্তির কামনায় করোনা ভাইরাস প্রতিকারে দায়িত্ববান হোন। এটা জন প্রত্যাশা। সবাই সবার অবস্থান থেকে সচেতন থাকি। নিরাপদে থাকি নিরাপদে থাকি। ভালো থাকি ভালো রাখি। জনসমাগম না করি। অযথা দলবদ্ধ হয়ে আড্ডা না দেই।

করোনা সংকটে আটকে পড়া ব্যক্তিরা স্থান ত্যাগ করে আগত ভাইদের প্রতি দৃষ্টি রাখি এবং নিরাপদে রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করি।’

কলাম লেখক—

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন