২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

লালমোহনে চোরের উপদ্রবে ঘুমহীন গ্রামবাসী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ অপরাহ্ণ, ০৭ নভেম্বর ২০১৮

ভোলার লালমোহনে চোরের উপদ্রবে ঘুমহীন রয়েছে গ্রামবাসী।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে- উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চাঁদ গ্রামের মানুষ র্দীঘ কয়েকদিন যাবৎ চোরের আতংকে রাত পাড় করছেন। তারা রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন চোরকে। ওই এলাকায় গত ২-৩ মাস ধরে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। প্রতিদিন দক্ষিণ রায়চাঁদ এলাকায় ঘটছে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা।

একটি চোর চক্র নষ্ট করছে গ্রামবাসীর ঘুম। তারা প্রতি রাতে ওই গ্রামের বিভিন্ন ঘরে হানা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে টাকা-পয়সাসহ স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় অনেকে হয়ে পড়েছে নিঃস্ব।

তবে এই বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, চকিদার ও দফাদারদের জানিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ রায়চাঁদ এলাকার সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাতে চোর চক্র হানা দেয় দক্ষিণ রায়চাঁদ আবাসনে।

পরে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেলে চোর দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, এলাকাবাসী এমদাদ নামের এক চোরকে আটক করে। এসময় চোরের ছুরির আঘাতে আহত হন আবাসনের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম নামের এক মহিলা ও আনোয়ার হোসেন নামের একজন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে নানা কৌশলে সকালে বিচার করবে বলে ওই চোরকে স্থানীয় মেম্বার বশির, দফাদার হারুন ও চৌকিদার ইউসুফের সহায়তায় ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন। ছাড়িয়ে নেওয়া পর্যন্তই শেষ। আর কোনো ফয়সালা করেনি ওই ইউপি সদস্য। আরও জানা গেছে- চোর এমদাদ ইউপি সদস্য বশির উদ্দিনের বাড়ির লোক।

অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে- দক্ষিণ রায়চাঁদ এলাকার সাধারণ মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ওই এলাকার নয়ন, এমদাদ, সবুজ ও তাদের সহযোগী ভোলার বাসিন্দা মাকসুদ। এরা ঐক্যবদ্ধভাবে একের পর এক চুরি করে যাচ্ছে। তাদের লিড দিচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।

দক্ষিণ রায়চাঁদ আবাসনের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা আবাসনের বাসিন্দারা এখানে খুব আতংকে রয়েছি। প্রতিদিন রাতে এখানে হানা দেয় চোর চক্র। ওই চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এই আবাসনের ৪০ টি পরিবার। প্রতিটি পরিবারের ঘরেই হানা দিয়েছে চোর। আর নিঃস্ব করে দিয়েছে তাদের। কারা এখানে চুরি করে তা সকলেই জানে। তবুও কেউ কিছু বলছে না। আমরা এসকল চোরদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করছি।

অন্যদিকে দক্ষিণ রায়চাঁদ এলাকার সালামত বেপারি বাড়ির বাসিন্দা দুলালের স্ত্রী নুরবানু জানান, আমাদের ঘর চুরি করে চোর চক্র নগদ টাকাসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমরা বশির মেম্বারকে জানিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছি না। তাই আমাদের দাবী প্রশাসন যেনো এবিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন বলেন, চুরির ব্যাপারে আমাকে অনেকেই জানিয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিরোধ রয়েছে তাই কিছু বলতে পারিনি। পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর ব্যাপারে ইউপি সদস্য বশির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

চুরির ঘটনার বিষয়ে রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরের ব্যাপরে আমি কিছু জানি না। আমরা জনপ্রতিনিধি। এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করি।

চোর ও চুরির বিষয়ে জানার সময় নেই।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন