২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

লোকজনকে রাস্তায় না নামার পরামর্শ: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১৭ অপরাহ্ণ, ২৫ মার্চ ২০২০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেছেন- করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে বিভাগে করোনার পরিস্থিতি বোঝার জন্য বিভাগীয় সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা থেকে এসে পানিসম্পদ মন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলাতে সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এসময় তিনি আরও বলেন- এর আগেও নগরবাসীকে করোনা প্রতিরোধের বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবার সরকারী ছুটি ঘোষণার পর যে পরিমাণ লোক বিভাগে প্রবেশ করেছে ঈদেও এত লোক বিভাগে আসেনি। এটি একটি ভয়ের ব্যাপার বলেন তিনি। কারণ এখন করোনা ভাইরাস আরও বেশি বিস্তার লাভ করবে। এখন এ পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য সকলকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন- কোন লোকজনকে আজ থেকে রাস্তায় বরদাস্ত করা হবে না। খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেন তিনি।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনা রোগীর জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত হলে নগরীর অ্যাপোলো হসপিটালকে করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বলেন তিনি। এখানে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিতে পারবে। শুধু নগরীতেই নয়, উপজেলাগুলোতেও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

জাহিদ ফারুক শামীম বলেন- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ’র পরিচালকের সাথে ডাক্তারদের রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে আরও বেশি তৎপর হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন- বর্তমানে আমাদের করোনা রোগী শনাক্ত করার জন্য যে পরিমাণ কিট আছে তাতে এক সপ্তাহ চলবে। ইতিমধ্যে ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছে বাড়তি রোগীর চাপ পড়লে যাতে করে কিটের অভাব না হয়। আরও ৭ হাজার মাস্ক’র অর্ডার দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ৪ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার আনা হচ্ছে। আগামী ২৭-২৮ তারিখের মধ্যে এই সরঞ্জামগুলো এসে পৌছাবে যা জনসাধারনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

এ সময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনগণকে উদ্দেশ্যে বলেন- খামখেয়ালীপনা বন্ধ করতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজের ভালোর কথা চিন্তা করতে হবে। পরিবারের কথা চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি এখনি সচেতন না হই, তবে ভবিষ্যতে সকল কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে বলে যাবে বলে সতর্কবার্তা দেন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান পরিস্থিতি যত তাড়াতাড়ি সামলানো যাবে ততই ভালো বলে উল্লেখ করেন তিনি। বরিশালে করোনা ভাইরাস এর পরীক্ষাগার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে মন্ত্রীসভায় প্রস্তাব রেখেছেন।

সর্বশেষ ঢাকা থেকে যারা এসেছে তাদের নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী। একই সাথে তাদের তত্ত্বাবধানে পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেন তিনি। সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার পূর্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, র‌্যাবের প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন প্রমুখ।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন