১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শতবর্ষী আকুব আলীর প্রশ্ন বষয়স্ক ভাতা পেতে আর কত বয়স লাগবে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৫ অপরাহ্ণ, ০৬ মে ২০১৭

শতবর্ষী আকুব আলীর আক্ষেপ ভরা প্রশ্ন ১০০ বছর বয়স হয়েছে এখনো বয়স্ক ভাতা পাইনি। তাহলে আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব? বয়সের ভারে নুজ্য আকুব আলীর বাড়ি আমতলী উপজেলার চাওরা ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে।

ভোটার আইডি কার্ডের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়- (আইডি নম্বর ০৪১০৯৪৭৩৩৩৩২২)  ১৯১৭ সালের ১২ সেপ্টম্বর আকুব আলী হাওলাদার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম হাতেম আলী হাওলাদার। ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ অনুযায়ী আকুব আলীর বর্তমান বয়স ১০০ বছর।

পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭ বিঘা জমি দিয়ে ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ের সংসার পরিচালনা করলেও বার্ধক্যে এসে নানা অভাব অনটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটে তার। বার্ধ্যকের কারনে আকুব আলী এখন আর সংসারের কোন কাজ কর্ম করতে পারে না।’

তার মধ্যে রয়েছে শরীরে নানা অসুখ।  সারা দিন ঘরের এক কোনায় তাকে এখন শুয়ে বসে দিন কাটাতে হয়। বয়সের ভারে নুজ্য হাটা চলাও করতে পারে না ঠিকমত। এ অবস্থায় তার দেখাশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন ছোট ছেলে বাবুল হাওলাদার তার রয়েছে স্ত্রী ২ ছেলে।

অভাবী সংসার বাবুলের। দিনমজুরি আর বিনা বেতনে একটি স্কুলের দপ্তরির চাকরি করে যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ সংসার পরিচালনা করে বাবা আকুব আলীর জন্য নিয়মিত খাবারসহ ওষুধের টাকা যোগার করতে পারেননা।

বাবুল হাওলাদার জানান, বাবার খাওয়া দাওয়ার খরচ কোন রকম জোটাতে পারলেও ওষুধের খরচ দিতে পারিনা। বাবার শরীরে বাত গ্যাস্টিকসহ নানা বার্ধ্যক্য জনিত রোগে বাসা বেধেছে। এতে প্রতিদিন তার ওষুদের জন্য প্রায় এক থেকে দেড়শ টাকা খরচ হয়। আমি গরিব মানুষ এত টাকা পাব কোথায়।
আকুব আলীর সঙ্গে কখা হয় তার বাড়িতে। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, ‘বাবা চলাফেরা করতে পারিনা হের পরও গ্রামের মেম্বার জাকিরের কাছে যাইয়া ভাতার টাহার লইগ্যা অনেক অনুনয় বিনয় করছি ভাতা পাই নাই।

মোর বর্তমান বয়স ১০০ বছর। যারা ভাতা পাইছে হেগো বয়স ৬০ থেকে ৭০ আছে মুই কি দোষ করছি যে ১শ’ বছরেও ভাতা পামু না। হেলে আর কত বয়স অইলে বয়স্ক ভাতা পামু কন দেহি।’

আমতলী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: ওলিউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আকুব আলী যদি ভাতা না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের দপ্তরে আবেদন করলে তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।”

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন