১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিক্ষককে নারী দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ২ পুলিশ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

নারী দিয়ে কলেজ শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে রাজশাহীর এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) দুই পুলিশ সদস্য ফেঁসে গেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশের রিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম রাজশাহী শহরের শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হলে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আশরাফুল জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক।

অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর চন্দ্রিমা থানার এএসআই আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা। আবদুল মমিন বর্তমানে আরএমপির পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আমি শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হই। ওই সময় রাস্তার পাশে এক নারীকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। এ সময় আমার বিরুদ্ধে ওই নারীকে কটূক্তির অভিযোগ আনেন তারা। একপর্যায়ে তারা দুইজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় নিতে চান।’

ওই শিক্ষক আরও বলেন, ‘ছেড়ে দেওয়ার শর্তে তারা প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ১২ হাজার টাকায় ছেড়ে দিতে রাজি হন। এরপর টাকা দেওয়ার নাম করে তাদের নগরীর ভদ্রা এলাকায় নিয়ে যাই। এরপর পরিচিত জনদের ডেকে তাদের আটক করি। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জড়িতদের শাস্তির প্রতিশ্রতি দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এএসআই আবদুল মমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা দাবি করেন, ‘ঘটনা আসলে এমন কিছুই নয়। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এএসআই মমিন থানায় কর্মরত থাকলেও পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে আছেন। সেখান থেকে কেন তিনি থানা এলাকায় এসেছিলেন সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ছাড়া অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন