২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে স্কুল মাঠে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন ::  ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যালয় মাঠে মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়দের অভিযোগ ও সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ষ্টেশন রোডে অবস্থিত মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারুল বেগম বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে বিদ্যালয়ের সম্মুখে বাউন্ডারির ভিতরে কয়েক দিন আগে ৯ কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধাপাকা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিদ্যালয়ের মূল গেটে বাউন্ডারির ভিতরে মার্কেট নির্মাণ কাজ দেখে হতবাক হয় অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। তারা বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল ইসলাম মার্কেট নির্মাণ না করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশ মানছেন না ওই প্রধান শিক্ষক। তবে শিক্ষা অফিসার নিষেধ করার পর মূল গেট সংলগ্ন ২টি কক্ষ বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের সম্মুখে পূর্বমূখী ৫ কক্ষ এবং সংলগ্ন দক্ষিণমুখী ২ কক্ষ মিলে ৭ কক্ষ বিশিষ্ট মার্কেটের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালী ওই প্রধান শিক্ষক। তার সাথে স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতার সক্ষ্যতা থাকায় তাদের দোহাই দিয়ে মার্কেট নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এই নেতাদের ভয়ে দেখেও না দেখার ভান করছেন শিক্ষা কর্মকর্তা এমন অভিযোগ অভিভাবকদের।

বিদ্যালয় মাঠে মার্কেট নির্মান প্রসঙ্গে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বাদশা বলেন, এটা সম্পূর্ণ
বেআইনি। সরকারি স্কুলের সামনে, স্কুলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে মার্কেট নির্মাণ করার কোনো নিয়ম নেই। প্রধান শিক্ষক গায়ের জোড়ে করছেন। এর জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দরকার।

তবে প্রধান শিক্ষক পারুল বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে মার্কেট নির্মাণ করছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। তিনি কারো কাছে কোনো টাকা নেননি।

শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ অমান্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্যার তাকে নিষেধ করেছিল ঠিকই। কিন্তু কমিটি এটা শুনছেন না। তারাই যা করার করছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইকরামুল হক বলেন, জায়গাটা স্কুলের বাউন্ডারির ভিতরে হলেও সেটি রেলের জমি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই জমিটা স্কুলের নামে লিজ নেওয়ার আবেদন করেই মার্কেট করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নিষেধ করেছেন। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক শুনছেন না। নিজের মতো করে কাজ করেই চলছেন। তাছাড়া তার সাথে নেতারাও রয়েছেন। এতে আমার করার কি আছে ?।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন