২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিশুটির শরীরে ৩ কেজির টিউমার, বাঁচাতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:২২ অপরাহ্ণ, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, বরগুনা:: ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুণছে দুই মাসের শিশু সানাউল। কোমড়ে বিশাল আকৃতির টিউমার শিশুটির। তাকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকার অভাবে দরিদ্র বাবা রিয়াজ শরীফের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন বাবা রিয়াজ শরীফ ও মা শাহনাজ আক্তার।

সানাউলের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মনশাতলী গ্রামে।

জানাগেছে, গত ২ অক্টোবর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়। নাম রাখা হয় সানাউল শরীফ। শিশু সানাউল জন্ম নেয়ার পরেই ওই দম্পতির আনন্দের পরিবর্তে নেমে আসে অন্ধকার। জন্মগতভাবেই শিশুটির কোপড়ে একটি টিউমার দেখা যায়। প্রথমে কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা টিউমার দেখে শিশুটির চিকিৎসায় অপরগতা প্রকাশ করে। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ৮ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা টিউমারটি অপারেশনের পরামর্শ দেয়। অকেন টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে দুইদিন পরে ওই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন বাবা রিয়াজ শরীফ ও মা শাহনাজ আক্তার। গত দুই মাসে টিউমারটি বড় হয়ে তিন কেজি ওজনের আকার ধারণ করেছে। মরণ যন্ত্রনায় শিশুটি ছটফট করছে।

মা শাহানাজ আক্তার অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। সহায় সম্ভব বলতে ওই দম্পতির বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। শিশুটিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির চিকিৎসা করাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার দরকার। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে শিশুটির চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।

শিশু সানাউলের মা শাহনাজ বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর একটা মাত্র পোলা। পেলাডা টিউমার নিয়া জন্ম নেছে। মোর কোন টাহা নাই, কিদ্দা মুই মোর পোলাডারে ডাক্তার দ্যাহামু। আপনেরা মোর পেলাডারে বাঁচান। সারা দিন মোর পোলাডায় কান্দে। মুই সহ্য হরতে পারি না।

শিশু সানাউলের বাবা রিয়াজ শরীফ বলেন, জন্মগতভাবেই টিউমারটি হয়। টিউমারটি দিন দিন বড় হচ্ছে। টাকার অভাবে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে নিয়েও ফিরে এসেছি। চিকিৎসকরা বলেছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সহযোগীতার কামনা করছি। আপনাদের সহযোগীতায় আমার ছেলের জীবন বেঁচে যেতে পারে।

সহযোগিতা পাঠানোর বিকাশ নম্বর- (০১৭৭৫৩৬১৯৩৩)।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন