বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ অপরাহ্ণ, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনস পর্যন্ত ‘বাংলা চ্যানেল’। জাহাজ কিংবা ট্রলারে করে যেতে সময় লাগে দু’তিন ঘণ্টা। কিন্তু এবার অভিযাত্রীরা টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে যাবেন ঠিকই, তবে জাহাজ বা ট্রলারে করে নয়, সাঁতার কেটে। এর আগেও কয়েকবার এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এ বছর ২৩ নভেম্বর (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় টেকনাফের শাহ পরি জেটি থেকে শুরু হবে এই সাঁতার বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আয়োজকরা।
এই সাঁতার আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন ভারতের সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন। তিনি ২০১৫ সালে ১২ ঘন্টা ৩৪ মিনিট সময় নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
প্রথমবার বাংলা চ্যানেল অভিযান পরিকল্পনার নায়ক স্কুবা ডাইভার, চিত্রগ্রাহক এবং বাংলাদেশে অ্যাডভেঞ্চারের অন্যতম গুরু মরহুম কাজী হামিদুল হক (১৯৪৯-২০১৩)। প্রথমে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন তাঁর কথায়। ‘এও কি সম্ভব?’ ঘরকুনো বাঙালির সাধারণ অভিব্যক্তি ছিল এটাই। কিন্তু এদের অবাক করে দিয়ে তাঁর কথায় বিশ্বাস রেখেছিলেন তিন অদম্য তরুণ লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা, সালমান সাঈদ। এই সাঁতারের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন। ১৪ জানুয়ারি ২০০৬। ঠিক ১১ বছর আগের কথা। কাজী হামিদুল হকের নেতৃত্বে বিশাল সমুদ্রের মুখে দাঁড়িয়ে লিপটন, সিনা আর সালমান। ঘড়িতে সকাল ৮টা বেজে ৩৩ মিনিট। সাগরের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই তিন স্বপ্নবাজ সাঁতারু। সেই থেকে শুরু সাঁতারুদের স্বপ্নযাত্রা। বদর মোকাম থেকে সেন্ট মার্টিনস জেটি পর্যন্ত সমুদ্র চ্যানেলের নাম দেয়া হলো বাংলা চ্যানেল।
১২ বছর পেরিয়েছে এই ‘বাংলা চ্যানেল সাঁতার’। কাজী হামিদুল হকের প্রতিষ্ঠান এক্সট্রিম বাংলা’র সঙ্গে আয়োজনে আয়োজক হিসাবে যুক্ত হয়েছে এভারেস্ট একাডেমি, ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। আর প্রতিবছর এই বিজয়ে নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। লিপটন সরকার এ পর্যন্ত ১২বার সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন বাংলা চ্যানেল। বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীমও নাম লিখিয়েছেন এই বাংলা চ্যানেল সাঁতারে। এছাড়াও বাংলা চ্যানেল সাঁতারে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মনিরুজ্জামান। তিনি ২০১২ সাল থেকে একাধারে চারবার পাড়ি দিয়েছেন এই চ্যানেল।