১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শুভ বড়দিন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: আজ (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। মহামানব ও মানুষের মুক্তিদাতা প্রভু যিশু এই দিনে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের বেথলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল। দিনটি উপলক্ষে দেশের খ্র্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যিশুখ্রিস্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যিশুখ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।’

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। দিনটি উদযাপনে যিশুভক্তরা নানা আয়োজন করেছে। ঘরে ঘরে জ্বালানো হয়েছে রঙিন আলো, সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। যিশু গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন বলে তার অনুসারীরা ঘরে ঘরে তৈরি করেছেন প্রতীকী গোশালা। তবে এবার সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে গির্জাগুলোয় এ উৎসবে বর্জন করা হচ্ছে সমস্ত আড়ম্বর।

বরিশাল ক্যাথিড্রাল চার্চের বিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি বরিশালটাইমসকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে চার্চে প্রার্থনা শুরু হয়েছে। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। তবে এবার করোনা দুর্যোগে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব। প্রার্থনা শেষে যে যার মতো করে বাসায় ফিরে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন