২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই শিশুকে বলাৎকার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৭ অপরাহ্ণ, ০৯ মে ২০১৯

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র রংপুর শাখার হাউজ ব্রাদার সুজন চন্দ্র রায় শিশুকে বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেই সুজন চন্দ্র রায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রেও দুই শিশুকে বলাৎকার করেছেন।

এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন কেন্দ্রের কেইস ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহাজান, সাইকোলজিস্ট মো. আবদুর রাজ্জাক ও আউটরিচ ওয়ার্কার বিপুল চন্দ্র পাল। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে পুনর্বাসন কেন্দ্রের পাঁচজন শিশু সুজন চন্দ্র রায়ের নানা রকম অনিয়ম, অসামাজিক কার্যাকলাপ ও ভয়ভীতির বর্ণনা করে স্বাক্ষ্য প্রদান করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিশুদের মানুষ গড়ার জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা কোনোভাবেই মানা যায় না। সুজন চন্দ্র রায় রংপুর কেন্দ্রে থাকাকালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর শাস্তি না হওয়ায় তিনি আবারো অভিন্ন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার সহাস পেয়েছেন। এভাবে বার বার ঘটনা ঘটলে দেশের ১৬টি কেন্দ্রের শিশুরা নিরাপত্তাহীন এবং অসহায়ত্ববোধ করবে। এবারো যদি তার যথাযথ শাস্তি না হয়, তাহলে তিনি আরো বেপরোয়া হওয়ার শঙ্কা আছে।

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ফরহাদাবাদ কেন্দ্রের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বিষয়টি তারা আমাকে জানান নাই। অথচ এটি আমাকে জানানো উচিত ছিল। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ফরহাদাবাদ কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় একটা অভ্যন্তরীণ তদন্ত হয়েছে। এ তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য আরো তদন্ত করা হবে। এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সুজন চন্দ্র রায় একজন শিশুকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে সমকামিতা করেন। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আবারো একই প্রস্তাব দিলে শিশু রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় দুইজন শিশুর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনার কয়েকদিন পর সুজন চন্দ্র রায় আবারো এক শিশুকে একই কাজ করার প্রস্তাব দেন। শিশু রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করিয়ে সমকামিতা করে। পরে ভবঘুরে স্টাফ কোয়ার্টারে কবুতর ধরার কথা বলে সেখানেও সমকামিতা করে। এ ঘটনায় তিনজন শিশুর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে তদন্ত কমিটি।

তদন্তের পর কমিটি মতামত প্রদান করে, ‘দুই শিশুর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমকামিতার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, অভিযোগের অভিযুক্ত শিশুদের সাক্ষ্য সঠিক এবং অভিযোগের ঘটনা এ কেন্দ্রে ঘটেছে বলে প্রমাণিত’।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন