১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শেবাচিমে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু নিয়ে হট্টগোল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুলতানা আক্তার (৩২) নামের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টি করে স্বজনেরা। চিকিৎসকদের ওপর রোগীর স্বজনদের চড়াও হওয়ার খবরে পুরো হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ নেয়।

তবে এই রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা চিকিৎসকদের দোষারোপ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।

জানা গেছে- বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বশির খানের স্ত্রী সুলতানা গত ২৭ আগস্ট বরিশাল শহরের হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক হাসপাতালে গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি হন। ওই দিনই সেই হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় সুলতানা হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে তাকে বরিশালের রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি-৩ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৮ টায় সুলতানার মৃত্যু হয়।

অথচ স্বজনদের দাবি- সুলতানা পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন এবং আগের দিন বৃহস্পতিবারও তিনি হাটা-চলা করেছেন।

নিহতের স্বজন জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, সুলতানার শরীরের ভেতরে ইনফেকশন করেছে এমনটা দাবি করে শেবাচিমে তার শরীরে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। এর তিনি সুস্থ হলেও শুক্রবার সকালে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন।

স্বজনদের অভিযোগ এই চিত্র দেখে ডিউটিরত চিকিৎসকদের একাধিকবার ডাকা হলেও কোন কর্ণপাত করেননি। কিন্তু যখন এলেন তখন আর রোগী বেঁচে নেই। এই বিষয়টির প্রতিবাদ করায় উল্টো চিকিৎসকেরা তাদের ওপর চড়াও হন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে- এই রোগী আগে থেকেই সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা অহেতুক উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হয়েছেন এবং হাসতাপালের তৃতীয় তলায় সেবিকাদের গালিগালাস করে কাগজপত্র ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বর্তমানে হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ শান্ত জানিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন- মরদেহ হস্তান্তরের পরে রোগীর স্বজহনেরা চলে গেছেন।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন