২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সংষ্কারের ৬ মাস না যেতেই বেহাল সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী:: বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার থেকে বিবিচিনি ইউপি ভবন পর্যন্ত সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণকে কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফুলতলা বেড়িবাঁধ থেকে ফুলতলা বাজার ও বিবিচিনি ইউপি ভবন হয়ে শান্তির হাঁট পর্যন্ত সড়কটি হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের কাঠালিয়ার আওড়াবুনিয়া, বেতাগী সদর, পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও শত শত সাধারণ মানুষ যাতায়াত এবং শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। এবারের টানা বর্ষণে সড়কে পানি জমে ছোট-বড় একাধিক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল প্রায়শই বন্ধ থাকে, ঘটছে দুর্ঘটনাও। সড়কের সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর দশা হয়েছে মীরা বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের উত্তর পাশের অংশের।

স্থানীয় অটোরিকশা চালক আলতাফ হোসেনসহ একাধিক অটো চালকরা জানান, চলাচলে বিড়ম্বনা ও জীবীকার টানে বাধ্য হয়ে নিজেদের মধ্য থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে কিছু অংশে খোয়া, বালু ফেলে কোন মতে যাতায়াত উপযোগি করা হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক মেরামত কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩০ টাকা ব্যয়ে ফুলতলা বেড়িবাঁধ থেকে বিবিচিনি ইউপি পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের একটি প্যাকেজের ৭‘শ ৬০ মিটার পুন:সংস্কারের কাজ পান আমতলীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিএম ইকফা এন্টার প্রাইজ।

স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কের কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় কাজের ৬ মাস যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গা চলাচল অনুপোযেগি হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। ঠিাকাদারের প্রতিনিধি অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয় ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বরগুনা-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমানের নিকট লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।

রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্বে এলজিইডি‘র সহকারী প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন বলেন,‘রাস্তা নির্মাণের পরপরই রাস্তার ওপর দিয়ে ভেকু চালিয়ে যাওয়ায় সড়কে কিছু অংশে ক্ষত হয়েছে। বাকী অংশ এখনও অক্ষত রয়েছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বরিশালটাইমসকে জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে লিখিতভাবে নিদের্শনা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভঙ্গুর জায়গা মেরামতের জন্য স্থানীয়রা তাকে অবহিত করলে তাদের নিজেদের টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না উপজেলা পরিষদ থেকে ব্যয় মেটানো যেতো।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন