২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সংসারের টানে মিনি ট্রাক চালাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৪ অপরাহ্ণ, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায়িত্ব নেয়ার পর ক্রিকেটেও আমূল পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার জেরে নাজম শেঠিকে বাদ দিয়ে এহসান মানিকে করা হয় পিসিবি চেয়ারম্যান। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেও আমূল পরিবর্তন আনা হয়। সংস্কার করা হয় ক্রিকেট কাঠামোর।

ঘরোয়া ক্রিকেটে এই পরিবর্তনের ফলে অনেক ক্রিকেটারকেই বেকার হয়ে যেতে হয়েছে পাকিস্তানে। যার করুণ একটি চিত্র উঠে এলো পাকিস্তানের এক সাংবাটিদের ভিডিও’য়। যেটা আবার ভাইরাল হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে পুরো পাকিস্তানে।

অথচ সাবেক একজন অধিনায়ক এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবুও সে দেশের ক্রিকেটের অবস্থা করুণ। শোয়েব জাট নামে এক সংবাদিক টুইটারে ভিডিও প্রকাশ করার পরই তোলপাড় শুরু হয়। পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটার ফজল সুবহান নামের ৩১ বছর বয়সী এক ক্রিকেটার বাধ্য হলেন মিনি ট্রাক চালাচ্ছেন- সেই ভিডিও প্রকাশ করেছেন শোয়েব জাট।

ভিডিওটি গত শুক্রবার নিজের টুইটার থেকে শেয়ার করেছেন শোয়েব জাট। ফজল সুবহান পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪০টি ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তান ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

মিনি ট্রাক চালানো নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় এক লক্ষ টাকা পেতাম; কিন্তু এখন ৩০-৩৫ হাজার টাকা পাই। সেটা বাঁচার জন্য যথেষ্ট নয়। সে জন্যই এই কাজ করতে হচ্ছে আমাকে।’

এতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখের খবর। নতুন সিস্টেম ২০০ জন ক্রিকেটারকে দেখাশোনা করছে; কিন্তু হাজার হাজার ক্রিকেটারের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমি জানি না কে এই অনিশ্চয়তার দায়িত্ব নেবে?’

শোয়েব জাট টুইটারে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে এম ওয়াকাস নামে এক ক্রিকেটার বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। যিনি পাকিস্তানের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও খেলেছেন। খেলেছেন ইমার্জিং এশিয়া কাপ, ৬০টি প্রথম শ্রেণি ক্রিকেট ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। কিন্তু ডিপার্টমেন্টাল ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়ার কারণে তিনি বেকার হয়ে যান।

এক সময় ৭০ হাজার টাকা পেতেন তিনি মাসে। অথচ এখন জীবন নির্বাহের জন্য ১৫-১৬ হাজার টাকা উপার্জন করেন বাইক চালিয়ে। এ নিয়েও তুমুল সমালোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন