তাই বিয়েও হয়নি তার। জানে না বিয়ের মর্ম, স্বামীর সোহাগ। তবুও পাগলিটা এবার মা হচ্ছে। কিন্তু অনাগত ওই সন্তানের দায়িত্ব নেবেন কে? মানসিক এ প্রতিবন্ধীর গর্ভবতী হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। কে হবে শিশুর বাবা! কার লালসার শিকার এই পাগলী এ আলোচনা এখন সখিপুরের টক অব দ্যা টাউন।
বুধবার সকাল থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতী গর্ভবতী হওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ওই পাগলির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সামলোচনা চলছে। সবাই ক্ষোভ আর ঘৃণা প্রকাশ করছেন।
সখীপুর পৌর শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, অনেকদিন ধরেই শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান নাম-পরিচয়হীন ওই পাগলি যুবতী। যাকে সবাই ‘পাগলি’ নামেই ডাকে। কেউ কেউ ওই পাগলির বাড়ি উপজলার গড়বাড়ি, তৈলধারা আবার কেউ কুতুবপুর বলে দাবি করেছেন। তবে কেউ প্রকৃত ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি। শহরে যত্রতত্র তার চলাচল। যেখানে রাত সেখানেই কাত। ধারণা করা হচ্ছে- রাতের আঁধারে কোনো লম্পটের লালসার শিকার হয়েছে মেয়েটি।
আহমেদ শফী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এরমধ্যে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাগলির চিকিৎসা ভার গ্রহণে এবং এক সন্তানহীন দম্পতি পাগলির সন্তানকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে যে বা যারা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর সঙ্গে এ অমানবিক কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোনসুর আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে ওই নারীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে।
ইউএনও চিত্রা শিকারী বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশের খবর