বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের শেষ মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত কুলখানিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারিণ মানুষের ঢল নেমেছে। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, ২০লীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার কর্মী-শুভাকাঙ্খীরা তার কুলখানিতে অংশ নেন। আজ শুক্রবার বাদ আসর গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের মাঠে এ কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।

কুলখানিতে কোরআন তেলোয়াতসহ দোয়া-দরুদ পড়ার পর প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। কুলখানিতে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রয়াত নেতার ঘনিষ্টজন, বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।

কুলখানিতে রাজনৈতিক দলের নেতারে মধ্যে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুস সালাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির আসম আবদুর রব, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও বাম রাজনৈতিক লের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

ইসলামী দলগুলোর মধ্যে খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, সেলিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, জাগপার খোন্দকার লুৎফুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাবেক ছাত্র নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম ছিলেন।

এছাড়া অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এমপি হারুনুর রশীদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, জি এম সিরাজ, এহছানুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুবুল হক নান্নু, আবদুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নবী উল্লাহ নবী, মকবুল ইসলাম টিপু, আবদুল কাদের, সুরাইয়া বেগম, রফিক শিকদার, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, টিকাটুলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন আশরাফীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক লের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে ছিলেন।

কুলখানিতে প্রয়াত নেতার স্ত্রী ইসমত হোসেন, ছোট ছেলে ইশফাক হোসেন এবং মেয়ে সারিকা সাদেকসহ আত্বীয়-স্বজনরাও ছিলেন।

গত ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশেষায়িত হাসপাতালে মোমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ দেশে এনে জুরাইনে তাকে দাফন করা হয়।

দাফনের আগে প্রথমে নিউইয়র্কে জামাইকা মুসলিম সেন্টারে, ঢাকায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়, নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ও ধুপখোলা মাঠ খোকার ৬টি জানাজা হয় যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

এছাড়া সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার কফিন দুই ঘণ্টা রাখা হয়।