২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

‘সারাজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ করতে গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড মারা হয়’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০১ অপরাহ্ণ, ১২ জুন ২০১৯

ভাইয়া বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় সামনে এসে পড়ে কিম। বলতে থাকে আমাকে বাঁচান। আমাকে মিলা মেরে ফেলবে। গাড়ি থামাতেই এসিড নিক্ষেপ করে সে। শরীরে এসিড পড়তেই চিৎকার করতে থাকে ভাইয়া। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে গিয়ে তাদের সহযোগিতা নিয়ে পানি ঢালতে থাকে গায়ে। তার শরীর যতটা পুড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢালা না হলে আরও অনেক অংশ পুড়ে যেত। সানজারীর গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করেই অ্যাসিড ছোড়া হয়েছিল

এভাবেই এসিড নিক্ষেপের বর্ণনা দিচ্ছেলেন সানজারীর ভাই অ্যাডভোকেট আলামিন খান। মিলা ও তার সহকারী ‘কিম জন পিটার হালদার ওরফে পিটার কিমের গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজ বুধবার (১২ জুন) মিলার সাবেক স্বামী বৈমানিক এস এম পারভেজ সানজারী পক্ষে তার ভাই ও এইড ফর মেন নামের একটি সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এই মানববন্ধনেই সানজারিকে কীভাবে এসিড মারা হয়েছিল সেই বর্ণনা তুলে ধরা হয়।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জন। এছাড়া মানববন্ধনে সানজারির ভাই অ্যাডভোকেট আলামিন খান, এইড ফর মেন- এর আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কাউসার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ জুন সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় পথে এই হামলার শিকার হন সানজারী। গত ২ জুন থেকে ৯ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৬০২ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিল।

এরপর ৪ জুন অ্যাসিড দমন আইনে গায়িকা মিলার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারীর বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি (নম্বর-৫) দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহারে মিলা এবং তার সহকারী পিটার কিমকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন করেন সানজারীর ভাই ও এইড ফর মেন নামের একটি সংগঠন।

অ্যাডভোকেট আলামিন খান বলেন, কিমের আর্তনাদ শুনে ভাইয়া গাড়ি থামায়। এই সময় সেই রাস্তার অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলা। তাকে দেখেই দুর্ঘটনা আন্দাজ করতে পারেন ভাইয়া। ততক্ষণে এসিড মারা হয়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড মারা হয়েছে। যাতে করে সারা জীবনের জন্য সে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।

এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। হাত, পেট ও শরীরের আরও বেশ কিছু অংশ অ্যাসিডে ঝলসে গেছে তার। মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন বলে তার মুখে অ্যাসিড মারা সম্ভব হয়নি। দুঃখের বিষয় হলো এখনও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলো না।

এর আগেও গত ২১ এপ্রিল আদালতে মিলার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারি।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন