২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সিসি ক্যামেরায় ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরির ভিডিও, জরিমানা দিয়ে চাইলেন ক্ষমা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪০ অপরাহ্ণ, ১২ এপ্রিল ২০২১

সিসি ক্যামেরায় ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরির ভিডিও, জরিমানা দিয়ে চাইলেন ক্ষমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> প্যান্ট চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে  জরিমানা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে জুয়েল রানা। গত শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারের প্রদিপ সুপার মার্কেটে এমন ঘটনা ঘটে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে পরের দিন ঘটনাটি প্রকাশ পায়। তবে চুরি নয়, মজা করেই প্যান্টটি নিয়ে যান বলে দাবি, অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার। জানান, এ কারণে তিনি প্যান্টের দামও পরিশোধ করে এসেছেন।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত শনিবার সন্ধ্যায় চুরির এই ঘটনা ঘটেছে। আমি দোকানে ছিলাম না। আমার ছোট ভাই দ্বীপ ছিল। আমি প্যান্টটা দেখতে না পেয়ে দ্বীপকে জিজ্ঞাসা করি। সেও বলতে পারে না। এরপরে দোকানের অন্য সব জায়গায় খুঁজে দেখে সেখানেও না পেয়ে পাশের একটি দোকানে সিসি ক্যামরা লাগানো আছে, সেখানে যাই। এরপর চুরির ঘটনাটি দেখতে পাই। তখন জুয়েল রানাকে শনাক্ত করি এবং তাকে ফোন দিলে এসময় জুয়েল রানা আমাকে (প্রসেনজিৎ) বলেন, “ভাই আমি বিষয়টি আপনাকে বলব বলব মনে করছিলাম। কিন্তু আপনিই ফোন দিলেন।”

এরপরে জুয়েল রানা মার্কেটে আসে এবং গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সারওয়ার ও সম্পাদক পাপুল সরকারের উপস্থিতিতে ৩২০ টাকা জরিমানা দেন। পরে ঘটনাটিকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে তাদের নিকট ক্ষমাও চান তিনি।’

এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’

অনুরুপ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, ‘এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম। আপনি যে নাম বললেন সেটা ঠিক আছে, আর মোবাইলও মিলে গেছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটি অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের নেতা রানা বলেন- ‘আমি প্যান্টটা চুরি করিনি। মজা করেছি। সন্ধ্যায় মজা করে সকালে ওই প্যান্ট পরে এসে টাকা দিয়ে দিয়েছি। একজন অপরিচিত মানুষ আমাকে মার্কেটের পেছনে পানের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর থেকে আমি আর কথা বলতে পারিনি। নেশা নেশা লাগছিল। বিষয়টি অনেকেই জেনে যাবে তাই, কথা না বলে প্যান্টটা নিয়ে যাই।’

ছাত্রলীগের এই নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সিসিটিভির ফুটেজে আপনাকে তো অন্য মানুষের মতই স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল এবং স্বাভাবিকভাবেই হেটে প্যান্ট সেল্ফ থেকে খুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’

 

blob:https://www.facebook.com/9d6bf42b-239a-420f-a69b-97ad241997ab

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন