২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সুগন্ধায় লঞ্চে আগুনের একমাস: এখনও ৩২ যাত্রী নিখোঁজ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

সুগন্ধায় লঞ্চে আগুনের একমাস: এখনও ৩২ যাত্রী নিখোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এক মাস পার হলো আজ। স্বজনদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী লঞ্চের এখনো ৩২ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ শিশু, ১১ নারী ও ৮ পুরুষ। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৪ জনকে। এখনো নিখোঁজদের খোঁজে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর তীরে মাঝেমধ্যে দেখা যায় স্বজনদের।

এদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও নৌমন্ত্রণালয় তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লেগেছে বলে জানানো হয়। এ জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তথ্য মতে, নিখোঁজ ৩২ জনের জন্য তাদের ৫১ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এক মাসেও শেষ হয়নি ডিএনএ পরীক্ষা। বরগুনার গণকবরে দাফন করা হয়েছে ২৩ জনের লাশ। নদী পথকে উদ্ধারের পর একজনকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ধারণা করে ঝালকাঠি পৌর মহাশ্মশানে সমাহিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় লঞ্চের মালিকসহ গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামিদের শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।

ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। লঞ্চ থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বরিশালটাইমসকে বলেন, গত ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমার কাছে জমা দিয়েছে। এটা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুন লাগে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন