২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সুন্দরবন সুরভী এ্যাডভেঞ্চার কেউ মানেনি স্বাস্থ্যবিধি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২২ অপরাহ্ণ, ৩১ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও সরকার বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে যাত্রী পরিবহনের সুযোগ দিলে প্রথমদিনেই তা উপেক্ষা করল মালিকেরা। বিশেষ করে বরিশাল থেকে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি লঞ্চও যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। এমভি সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও এ্যাডভেঞ্চার নামক তিনটি নৌযান রোববার সন্ধ্যায় যাত্রীঠাসা করার পরেও টার্মিনালে অপেক্ষা করতে থাকে। সার্বিক পরিবেশে সমূহবিপদের আভাস আলামত পেয়ে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষুব্ধ হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চগুলোকে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- প্রথমদিনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পাওয়া তিনটি লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোক ওঠানোর কথা থাকলেও কেউই তা মানেনি। এই চিত্র পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষ করলেও অজ্ঞাত কারণে ছিলেন নিশ্চুপ। ফলে তিনটি লঞ্চে যাত্রীঠাসা করার পরেও আরও লোক তোলার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এমন সময় জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান সেখানে পৌঁছে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ হন। এবং তিনটি লঞ্চই সাথে সাথে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে বাধ্য করেন।

সুরভী লঞ্চের একজন যাত্রী জানান, লঞ্চগুলোর ডেকে তিন ফুট দুরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে রঙ দিয়ে সীমনা আঁকা থাকার পরেও কেউ তা মানেনি। বরং গাদাগাদি করে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আবার কারও কারও মুেখ সুরক্ষা মাস্কও দেখা যায়নি। কেউ কেউ মাস্ক দিয়ে মুখ না ঢেকে থুকনিতে ঝুলিয়ে রাখে। বলা চলে একটি লঞ্চের ডেকেও স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দুরত্ব মানা হয়নি। এরপরেও মালিকেরা লঞ্চগুলোতে আরও যাত্রী তোলার অপেক্ষায় টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন।

এমন হযবরল চিত্র পুলিশ-বন্দর বিভাগের কর্মকর্তা প্রত্যক্ষ করলেও সকলে রহস্যজনক নিরব ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মূলত এই কারণেই রেগে গিয়ে লঞ্চগুলোতে ঘাট ত্যাগে বাধ্য করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তবে বন্দর বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠুর দাবি হচ্ছে- কঠোর নজরদারি থাকার পরেও যাত্রী সাধারণকে স্বাস্থবিধি মানানো সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের কোন দায়িত্ব অবহেলা বা গাফিলতি নেই। তিনিও নিজেও লঞ্চগুলোর ডেকে উঠে শারীরিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু অনেকেই শোনেনি।

এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জিয়াউর রহমানের ভাষ্য হচ্ছে- উপচেপড়া ভীড়ে অধিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলা বন্ধসহ নির্ধারিত সময়ের অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে অর্থাৎ রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘাট ত্যাগে বাধ্য করা হয়। অধিক জনসমাগম এড়াতে বেশকিছু যাত্রীকে ফেরতও পাঠিয়েছেন।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন