২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সূর্যও লকডাউনে গেছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ১৬ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: করোনার এই দুঃসময়ে অর্ধেক পৃথিবীর মানুষ রয়েছেন লকডাউনে। আর এর মধ্যেই খারাপ খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, সূর্যও লকডাউনে গেছে। এই কারণে শীতল আবহাওয়া, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ আসতে পারে।

বর্তমানে সূর্য ‘সোলার মিনিমাম’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফলে পৃথিবীতে সূর্যের স্বাভাবিক সময়ে সরবরাহ করা তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। সূর্যের কার্যকলাপ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস বলেন, সূর্য ‘সোলার মিনিমাম’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি অত্যন্ত গভীর। সানস্পট গণনা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে গভীরতম অবস্থানে রয়েছে। সূর্যের চৌম্বকীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করতে পারে।

সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করলে নভোচারী ও মেরুঅঞ্চলের জন্য তা হবে বিপজ্জনক। এছাড়া এটি পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক-রসায়নকে প্রভাবিত করে এবং বজ্রপাতও বাড়াবে বলে জানা তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সূর্যের এই লকডাউনে যাওয়ার ঘটনায় ‘ডাল্টন মিনিমাম’র পুনরাবৃত্তি হতে পারে। ওই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৯০ ও ১৮৩০ সালের মধ্যে। তখন সূর্যের মিনিমাম সোলারের কারণে তীব্র শীতের মুখে পড়েছিল পৃথিবী। এছাড়া ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি, দুর্ভিক্ষ এবং শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা ছিল তখন।

ওই ঘটনার ফলে ১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার তামবোরা পর্বতশৃঙ্গে দুই হাজার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। সেই অগ্নুৎপাতে মুহূর্তেই অন্তত ৭১ হাজার মানুষ মার যান। ১৮১৬ সালে বিশ্বের অনেক দেশে গ্রীষ্মকালই দেখা যায়নি। এমনকি জুলাইয়ের গরমের দিনও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তখন তুষারপাত হয়। তখন ওই সালটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এইটিন হান্ড্রেড অ্যান্ড ফ্রজ টু ডেথ’।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন