২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সেদিন ভিপি নুরের বহরে ৭৮টি মোটরসাইকেল ছিল!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ১৭ আগস্ট ২০১৯

ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজ শহরে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ শহর পটুয়াখালীর উলানিয়া বাজারে হামলার শিকার হন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন ভিপি নুর। ঈদের তৃতীয় দিন তিনি নিজ উপজেলা পটুয়াখালীর গলাচিপা দশমিনা উপজেলার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তার বহরে ছিল ৭৮টি মোটরসাইকেল। যা ক্রমেই বিশাল শো-ডাউনে রূপ নেয়। উলানিয়াবাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা ভিপি নুরের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা নুরের মোটরসাইকেল আটক করে। পরে তাকে একটি স্টিলের দোকানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, নুরের ইচ্ছাতেই মোটরসাইকেল বহরে থাকা তার সমর্থকরা এসময় শান্ত ও নিরব ভূমিকা পালন করেন। নুর চাননি সেখানে বড় ধরনের কোন সহিংসতা হোক। অগত্যা তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিরবে মার খেয়েছেন। তিনি চাননি সেখানে কোন ইস্যু তৈরি হোক, যেটা নিয়ে কোন দল বা গোষ্ঠী রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নিক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ এক নেতা দাবি করেন নুর সেদিন ইশারা করলে সেখানে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটে যেত। কারণ নুরের বহরে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ছিল। প্রতি মোটরসাইকেলে অন্তত ৩ জন করে নুর ভক্ত ছিল। নুরের ভক্তদের দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঈর্ষন্বিত হয়েই ওই হামলা চালিয়েছে। তাদের ভয় নুর ভবিষ্যতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু নুরের এমন বাসনা নেই। তিনি চাননি সেখানে কোন গন্ডগোল হোক। তিনি সহনশীলতায় বিশ্বাসী বলেই মার খেয়েছেন এমনটাই দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওই নেতার।

এদিকে হামলার পর নুর গণমাধ্যমকে দাবি করেছেন, পটুয়াখালীর স্থানীয় এমপির নির্দেশেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ বহিরাগতরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।

তিনি জানান, বুধবার সকালে তার নিজ গ্রামের বাড়ি গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস থেকে তার বোনের বাড়ি দশমিনা উপজেলায় রওনা হন। এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নুর ও তার বন্ধুদের দশমিনায় যেতে নিষেধ করা হয়। এমনকি বলা হয়-স্থানীয় এমপি এসএম শাহাজাদা সাজু তার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন নুরকে মারতে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না বলে জানিয়ে নুরকে আসতে নিষেধ করে অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন। নুর বাধা না শুনে উলানিয়া বাজার হয়ে দশমিনা যাওয়ার পথে প্রথমে একদল বহিরাগত কৌশল নিয়ে তাদের গতিরোধ করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

কিছুক্ষণ পর গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের নেতৃত্বে তার ভাই নুরে আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রনো, লিটু প্যাদা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কচিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ আসিফ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ নেতা রাহাত, তূর্য্যসহ শতাধিক বহিরাগত রড, চেইন, হকিষ্টিক, রামদা নিয়ে হামলায় অংশ নেয় বলে দাবি করেন নুর।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন