২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

স্কুলের পাশে খামার, দুর্গন্ধে পাঠদান ব্যাহত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ১১ অক্টোবর ২০১৯

অভিযোগকারী বিদ্যালয় অভিভাবকদের পক্ষে মো. হাসান মাহমুদ ও এলাকাবাসীর পক্ষে আবু বকর মিঞাজী জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে দায়িত্ব দেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন চিংড়াখালী সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন ও চিংড়াখালী নুরানী মাদরাসা, ইয়াতিমখানা ও মিঞাজী দরবার শরীফের পরিচালক মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান মিঞাজী বলেন, জলিল মিঞাজী প্রতিষ্ঠানগুলোর জমি দখল করে অবৈধভাবে খামার করেছে। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বার্থে খামারটি অন্যত্র সরিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

খামার মালিক মো. আ. জলিল মিঞাজী বলেন, এই খামার করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে এটা করেছি। অন্য কারো জমি দখল করে নয়। তাই এখানে কারো কিছু বলার নেই।

চিংড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আ. মালেক জানান, এখানে খামার করা হলেও আমি দুর্গন্ধ পাই না। তা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকরা দুর্গন্ধ পাচ্ছে কেন জানতে চাইলে বলেন, সেটা তাদের ব্যাপার, আমার কাছে তারা কিছুই জানায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন বলেন, এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, এরকম কোনো খামার করতে হলে অবশ্যই জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এ ছাড়াও খামারের দুর্গন্ধে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন খামার বিদ্যালয় সংলগ্ন করা যাবে না। পাশাপাশি যে কোনো খামার নির্মাণের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে করতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর চিঠি অনুযায়ী এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়নি। এ বিষয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য আছে। শুনানির পরে প্রয়োজন হলে সেখানে তদন্তের জন্য লোক পাঠানো হবে। পরিচালক আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খামারটি কীভাবে করা হলো সেটাও দেখা হবে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন