২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে মোবাইল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৩ অপরাহ্ণ, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অণলাইন:: বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:::পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পর এবার সবসময়ের জন্য স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে মোবাইল

এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর। দেশটির গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, স্কুল চত্বরে মোবাইল ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করল শিক্ষা দপ্তর। এবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না। একই সঙ্গে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারেও বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ নিয়ম চালু হতে চলেছে।

এর আগে দেশটিতে পরীক্ষা চলার সময় শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।

দেশটির মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রধান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আগে মোবাইল ফোন ছাড়া কি সমাজ চলত না? স্কুল চলাকালীন ফোন ব্যবহার না করাই তো কাম্য। তাই এই নির্দেশিকা।

মোবাইল ফোন যে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়, নানা গবেষণায় বহুবার তা উঠে এসেছে। শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিলে ঠিক করে বই পড়তেও সমস্যায় পড়ে তারা। বাস্তবিক এ সমস্যার কথা ভেবেই স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দফতর। সামনের বছর থেকে মোবাইল ফোনের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর ।

দেশটির শিক্ষা দপ্তর জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে মোবাইল আর ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে ক্লাসে এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্যে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহার একে বারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনো প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।

একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্কুলে নির্দিষ্ট সময় আসার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে প্রত্যককেই। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা ‘লেট’ হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। বেলা ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাকে অনুপস্থিত ধরা হবে।

সাড়ে ৪টার আগে স্কুল ছাড়া যাবে না। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ক্লাস নেয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন