২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

স্ট্যাম্পের বেল পরিবর্তন করতে নারাজ আইসিসি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০৪ অপরাহ্ণ, ১২ জুন ২০১৯

বল স্ট্যাম্পে লেগেও বেল পড়ছেনা, এমন কথা শুনলে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের মনে সর্বপ্রথম হয়তো মাথায় আসবে মোহাম্মদ আশরাফুলের কথা। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩০ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন ক্রিস ট্রেমলেট, হ্যাট্রিক বল মোকাবেলা করতে নামেন আশরাফুল। বুক সমান বাউন্সার ঠিকমত খেলতে পারেননি তিনি, শরীরে লেগে বল গিয়ে আঘাত আনে উইকেটে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেল পড়েনি তখন। এরপর আশরাফুল কী করেছিলেন তা সবার জানা। তবে এবার বিশ্বকাপে এসে এই স্ট্যাম্পে লেগে বেল না পড়ার বিষয়টি নিয়ে কম জল ঘোলা হচ্ছেনা। এখন পর্যন্ত পাঁচবার এমন ঘটনা ঘটেছে শুধু এই বিশ্বকাপেই। ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার সবাই বেঁচে গেছেন স্ট্যাম্পে লেগে বেল না পড়ায়। অনেকে বলছে এই জিং বেল পরিবর্তন করার কথা। তবে আইসিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্টের মাঝপথে এই বেল পরিবর্তন করার সুযোগ নেই।

এমন নয় যে তারা খুব কম গতিতে বল করছেন। ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কদের মতো বোলারদের ১৪৫ প্লাস কি.মি. গতির বল স্ট্যাম্পে লাগলেও যখন বেল পড়ে না, তখন এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতেই পারে। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত বল স্ট্যাম্পে লেগেও বেল পড়েনি এমন ঘটনা ঘটেছে পাঁচবার। একমাত্র ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন পেসার। ভারতের অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ছাড়াও অনেকেরই দাবি এই জিং বেল পরিবর্তন করার।
বিশ্বকাপে অনেক আলোচনা-সমালোচনা শেষে অবশেষে এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে এই বেল স্ট্যাম্প পরিবর্তন করতে নারাজ তারা। সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক বিবৃতিতে আইসিসির গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘টুর্নামেন্টের মাঝপথে আমরা কোনকিছু পরিবর্তন করতে রাজি নই। পুরো ৪৮টি ম্যাচে ১০ দলের জন্য একই সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে। প্রায় চার বছর ধরে স্ট্যাম্প গুলোর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।’
আইসিসির সেই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘স্ট্যাম্পগুলো ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই বিভিন্ন ম্যাচে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মানে সেগুলো এক হাজারেরও বেশি ম্যাচে ব্যবহৃত হয়েছে। এসব সমস্যা সবসময়ই খেলার একটি অংশ হয়ে এসেছে, এখনও ব্যাপারটি আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। তাই ব্যাটসম্যানদের দুর্গ ভেদ করার জন্য বোলারদের একটু বেশি শক্তি প্রয়োগ করা দরকার মনে হয়।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন