২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

স্বামীকে গ্রেপ্তার না করায় চারদিনেও স্ত্রীর লাশ দাফন হয়নি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ২৪ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, রাজাপুর:: ঝালকাঠি রাজাপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে চারদিনেও গৃহবধূর লাশ দাফন করেনি তার স্বজনরা। রোববার সকালেও ডহশংকর গ্রামে বাবার বাড়িতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

ঝালকাঠি রাজাপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ইউপি সদস্য কুদ্দুস হোসেনসহ (৪৫) পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টায় রাজাপুর থানায় নিহত গৃহবধূ রুনা লায়লার ভাই মিজান গাজী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাপুরের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে রুনা লায়লা (২৬) নামে ওই গৃহবধূর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর থানা পুলিশ। নিহত রুনা লায়লা রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা কুদ্দুস হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহশংকর গ্রামের আমির হোসেন গাজীর মেয়ে।

স্বামী কুদ্দুস বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে বলে স্বজনদের অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকারীদের পক্ষ অবলম্বন করারও অভিযোগ করেন স্বজনরা।

নিহত গৃহবধূর বাবা আমির হোসেন গাজী জানায়, তার ছোট মেয়ে রুনা লায়লার দশ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কুদ্দুস মেম্বর নির্বাচন করার সময় শ্যালকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। সেই টাকা পরিশোধ না করে সম্প্রতি আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে সে। টাকা না দেয়ায় রুনা লায়লাকে নির্যাতনের পরে হত্যা করে কুদ্দুস।

গত শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। লাশ দাফন না করে বিকালে ওই ইউপি সদস্যের বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে নিজ জেলা ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন মৃতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে লাশ তার বাবার বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চার দিনেও লাশ দাফন করা হয়নি।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করা হয়েছে। ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেনসহ সব আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন