২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, সপ্তাহে দুইদিন পশুর হাট

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২১ অপরাহ্ণ, ৩০ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: একদিকে জেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর হাট।

শনিবার দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের খোঁচাবাড়ি হাটে গেলে এমনি চিত্রটি চোখে পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন বসে এই হাট।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশের জগন্নাথপুর খোঁচাবড়ি হাটে সকাল থেকে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শতাধিক লোক নিয়ে গাদাগাদি চলছে গবাদিপশুর হাটটি। সেইসাথে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক।

সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছু মানা হচ্ছে না সেখানে। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

হাটে ছাগল কিনতে আসা শাকিল আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান, বাসার জন্য ছাগল কিনবো বলে দুপুরের দিকে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি অনেক লোকের সমাগম। সেইসাথে এখানে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। একদম গাদাগাদি করেই পশুর হাটটি চলছে। তাই ছাগল না কিনেই চলে যেতে হচ্ছে। যদি এভাবেই চলে তাহলে আমাদের জেলার জন্য এটি ক্ষতিকর।

আব্দুল আজিজ নামের আরেক ক্রেতা জানান, হাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের জেলায় করোনা বলতে কিছু নেই। আমি মাস্ক পড়ে থাকলেও হাটের বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক তো দূরের কথা কোনপ্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আমার মতে এভাবে যদি এই হাট চলে তাহলে আর বেশিদিন নেই, আমাদের জেলাও প্রচুর হারে বেড়ে যাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই করোনার কারণে কোন আয়-রোজগার নেই। আজ হাট খুলেছে, তাই একটি গরু বিক্রি করতে আসেছি।

মুখে মাস্ক কেন পরেননি- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই তো পড়েনি, তাই আমিও পড়িনাই। তবে পকেটে মাস্ক আছে।

আব্দুল বাশার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমার দূরত্ব মেনেই আছি, তবে ক্রেতারা যদি না বোঝে আমরা কি করবো। আমরা চেষ্টা করি যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পশুর হাটে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ এটা আমাদের নিজেদের জন্য ভালো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বেশি জনসমাগম মানেই করোনার সংক্রামণের ঝুঁকি। আমরা ইতিমধ্যে হাটের ইজারাদরদের সাথে কথা বলেছি এ বিষয় নিয়ে। তারা এরপর থেকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাট চালাবে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন