২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

হাবল স্পেস টেলিস্কপে ধরা পড়ল রহস্যময় নীহারিকা ও সুপারবাবল!

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৬:১৬ অপরাহ্ণ, ০৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে সম্প্রতি এন৪৪ নীহারিকার সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির একটির ছবি ধরা পড়েছে। এই বৈশিষ্ট্যটি অন্ধকার, তারার ফাঁক ছাড়া আর কিছুই নয়। একে এন৪৪ নীহারিকাতে সুপারবাবল বলা হয়। এন৪৪ হল একটি নির্গমন নীহারিকা। এটি উজ্জ্বল হাইড্রোজেন গ্যাস, ধুলোর অন্ধকার গলি, বিশাল নক্ষত্র এবং বিভিন্ন বয়সের নক্ষত্রের সমারেহ নিয়ে গঠিত।

বৃহৎ ম্যাগেলানিক ক্লাউডে অবস্থিত নীহারিকাটি একটি বাবল গঠন রয়েছে যাকে এন৪৪এফ বলা হয়। নীহারিকাটি প্রায় একহাজার আলোকবর্ষজুড়ে বিস্তৃত এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ১লাখ ৭০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

হাবল যে ব্যবধানে ছবিটি তুলেছে তা প্রায় ২৫০ আলোকবর্ষ প্রশস্ত। তবে এর অস্তিত্ব অধরাই থেকে যায়। কারণ, বুদবুদ বা বাবলের অভ্যন্তরে বিশাল নক্ষত্রথেকে নির্গত নাক্ষত্রিক বায়ু গ্যাসের প্রভাবে দূরে সরে যেতে পারে। তবে এটি বুদবুদের পরিমাপিত বাতাসের বেগের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরেকটি সম্ভাবনা, যেহেতু নীহারিকা বিশাল নক্ষত্রে পূর্ণ থাকে যা টাইটানিক বিস্ফোরণে শেষ হয়ে যাবে।

সুপারবাবলের আশেপাশে একটি সুপারনোভার অবশিষ্টাংশও পাওয়া গেছে। এছাড়াও, সুপারবাবলের রিম ও তারের মধ্যে প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর বয়সের পার্থক্য রয়েছে। এটি সুপার বাবলের মধ্যে একাধিক চেইন-প্রতিক্রিয়া তারা-গঠনের ঘটনাকে নির্দেশ করে। চিত্রটিতে প্রদর্শিত গভীর নীল অঞ্চলটি নীহারিকাটির অন্যতম উষ্ণ অঞ্চল এবং সবচেয়ে তীব্র গতিতে নক্ষত্র গঠনের এলাকা।

সূত্র: টেক এক্সপ্লোরিস্ট।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন