২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

হ্যান্ড ওয়াশ-ভ্যাসলিন দিয়েও ভোট দিতে পারেনি রেনু বেগম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৫২ অপরাহ্ণ, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: রেনু বেগম ( ৫৫) । পেশায় একজন গৃহীনি । নাতিকে নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্র ভোট দিতে আসেন তিনি । নিচ তলার ২০৪ নাম্বার কক্ষে ভোটার নাম্বার মেলার পর এবার ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পালা। প্রথমে ডান হাতের দুই আঙ্গুলের ছাপ মিলেনি, তারপর বাম হাতের দুই আঙ্গুল। তাতেও মিলেনি । ১০ থেকে ১২ বার চেষ্টার পর ফিঙ্গার না মেলায় এবার ভিন্নভাবে চেষ্টা । হাতে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে আসতে বললেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ।

হাত ধুয়ে আসার পর সে চেষ্টাও বিফল। এবার মিনি সাবান দিয়ে হাত ধুলেন। যথারীতি ধুয়ে আসলেন তাতে ফিঙ্গার মিলেনি। এরপর ভ্যাসলিন-টিস্যু দিয়ে আঙুলের ছাপ স্পষ্ট করার চেষ্টা। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয় । প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ১ শতাংশ কোটায় তাকে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নেন । নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করার পর প্রিজাইডিং কর্মকর্তার রুম থেকে খবর আসলো সেই কোটা শেষ ।

নতুন করে কোটার জন্য আবেদন করা হয়েছে । অনুমতি মিললেই তিনি ভোট দিতে পারবেন । আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে তার ।

তিনি কর্মকর্তাদের বলেন, ভোট দেয়ার শখ শেষ। ওই ভোটারের কাছে ক্ষমা চেয়ে ১০৪ নং কক্ষের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, সরি আপনার ভোটটা নিতে পারলাম না ।

কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আক্ষেপ তিনি বলেন, ১১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে কামরাঙ্গীরচর থেকে আসলাম। আবার ১০০ টাকা খরচ করে বাসায় যেতে হবে। পুরো টাকাটাই বিফলে গেল।

সেখানে উপস্থিত এক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সময়ের আলোকে বলেন, সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ মহিলাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা রান্না বান্নাসহ নানা কাজকর্মে হাতের আঙ্গুলে স্পট পড়েছে । এদের অধিকাংশেরই আঙ্গুলের ছাপ নিচ্ছে না । আমরা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলি। ভ্যাসলিন দিয়েও আঙ্গুলের ছাপ নিয়েছি । এসব বয়সীদের নিয়ে আমাদের নানা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন